Samakal:
2025-04-10@12:40:23 GMT

পাঁচ ফর্মার বইটি

Published: 6th, March 2025 GMT

পাঁচ ফর্মার বইটি

আমাদের সময়ের আড্ডা-তর্ক   ছিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগকেন্দ্রিক। সেসব ছিল নিখাদ মেধাবী আড্ডা ও সৃষ্টিশীল তর্ক। জ্ঞান ও পাঠাভিজ্ঞতা বিনিময় ছাড়াও নির্মল আনন্দের সেইসব আড্ডায় থাকতেন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, কামাল চৌধুরী, মঈনুল আহসান সাবের, জাফর ওয়াজেদ, খায়রুল আনোয়ার, তুষার দাশ, আলী রীয়াজ, সুব্রত শংকর ধর, গোলাম ফারুক খান, রেজা সেলিম, আফতাব আহমেদ ও আরও অনেকেই। প্রথম যৌবনের সময়জ্ঞানরহিত আড্ডার সেইসব সঙ্গীর মধ্যে এখন তুষার দাশ, সিদ্ধার্থ হক, ফরিদ কবির, মঈনুল আহসান সাবের, ইশতিয়াক রেজার সঙ্গে এখনও আড্ডা হয়। বাকিদের সঙ্গে অনিয়মিত। দেখা হয় কালেভদ্রে।    
আমার প্রথম বই– গল্পগ্রন্থ বৈরী স্রোত, প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। 
১৯৮৮ সালে সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের এক পর্যায়ে তিনি জানতে চান আমার কোনো গল্পগ্রন্থ আছে কিনা। কোনো বই নেই জানার পর তাঁর একটি কথা আমার ভেতরে গভীরভাবে দাগ কেটে যায়। তিনি বলেন, একটি বই থাকলে বোঝা যায় লেখক ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। বিচ্ছিন্নভাবে পত্রপত্রিকায় ছাপা লেখা দিয়ে সেটি পরিমাপ করা যায় না। নিজেকে পরিমাপ করার জন্যই একটি গ্রন্থ থাকা দরকার।
আমার বন্ধু ফয়জুল লতিফ চৌধুরী আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ‘অধুনা’ নামে একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছিলেন। আমার একটা গল্পগ্রন্থ প্রকাশের আগ্রহ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছিলেন তিনি। প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ উপলক্ষে ছুটি নিয়ে সিলেট থেকে ঢাকা আসি আমি। প্রুফ দেখার কাজটি অত্যন্ত আনাড়ির মতো করেছিলাম বলে অনেক ভুল রয়ে গিয়েছিল। ততদিনে অধুনার জায়গায় এসেছে দেশ প্রকাশন। 
দেশ প্রকাশনের অফিস ছিল জোনাকী সিনেমা হলের উল্টো দিকে নয়াপল্টনের গলিতে ‘রূপ’ বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের অফিসে। রূপ-এর কর্ণধার ইউসুফ হাসান সানন্দে দেশ প্রকাশনের জন্য তাঁর অফিসটি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। দেশ প্রকাশনের যাবতীয় কাজে স্বেচ্ছাভূমিকায় জড়িত ছিলেন ইউসুফ হাসান, কবি তারিক সুজাত, কাফি এবং তুহিন। শেষোক্ত দুজনই অকালপ্রয়াত। 
মোট দশটি গল্প নিয়ে পাঁচ ফর্মার বইটি প্রথম হাতে নিয়ে যে অনুভূতি হয়েছিল সেটি এই মুহূর্তে স্মৃতিতে নেই। মনে পড়ে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বইটি দেখি। বইটির প্রোডাকশনে যে খামতিগুলো ছিল সেসব আমার দৃষ্টিতে ধরা পড়েনি। পরবর্তী সময়ে বের হওয়া বইগুলো দেখার পর ধীরে ধীরে সেসব খামতি বুঝতে পারি। ফন্ট ছিল খুব ছোট, সম্ভবত ৮ বা ১০ পয়েন্ট। ছোট হরফ এবং কাগজের মানের কারণে পাঁচ ফর্মার বইটিকে দেখায় তিন ফর্মার মতো। 
দ্বিতীয়ত, নিজের অজ্ঞতার কারণে অসংখ্য ভুল বানান এবং ছাপার ভুল ছিল বইটি জুড়ে। আসলে আমার যেমন প্রথম বই, তেমনি সেটা প্রকাশের সঙ্গে কারিগরিভাবে যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরও হাতেখড়ি হচ্ছিল প্রকাশনা জগতে। বইটির একটিমাত্র কপি এখনও শেলফের একপাশে ক্ষীণস্বাস্থ্যের অবহেলিত সন্তানের মতো পড়ে থাকে, তবুও লেখকের কাছে প্রথম গ্রন্থ একটা মাইলফলক হিসেবেই রয়ে যায়, কারণ, এটি দিয়ে তৈরি হয় তার দাঁড়ানোর প্রথম ভিত। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বই ফর ম র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

‘চূড়ান্ত হয়‌নি ১০৪৮৭ হজযাত্রীর বা‌ড়ি ভাড়া, এজেন্সির অবহেলা বরদাস্ত করা হ‌বে না’

কোনো হজ এজেন্সির অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা সরকার বরদাস্ত করবে না ব‌লে হুঁশিয়ার ক‌রে দি‌য়ে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ব‌লে‌ছেন, “হজ এজেন্সির কমিটমেন্ট ও দায়বদ্ধতার অভাবে বেসরকারি ব‌্যবস্থাপনায় বাড়ি ভাড়া এখনও চূড়ান্ত না হওয়ায় ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীর হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কিত ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মক্কায় ৭ হাজার ২৭৪ জন এবং মদিনায় ৩ হাজার ২১৩ জন হজযাত্রী রয়েছেন।”

হ‌জের সর্ব‌শেষ প‌রি‌স্থি‌তি নি‌য়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তি‌নি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, “সর্বশেষ ৭ এপ্রিল আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে সভা করেন। এজেন্সির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৮ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মক্কায় ১ হাজার ১২৬ জন এবং মদিনায় ১ হাজার ৬৭ জন হজযাত্রীর নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে হোটেল ও বাড়ি ভাড়ার রিকোয়েস্ট এখনও সাবমিট করা হয়নি।”

আরো পড়ুন:

দুই পরিবার একসঙ্গে ঈদ করব: মেহজাবীন

হজযাত্রী প্রতিস্থাপন ১৮ এপ্রিলের মধ্যে

“বেসরকারি ব‌্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রীর মধ্যে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মক্কায় ৭৪ হাজার ৬২৬ জন ও মদিনায় ৭৮ হাজার ৬৮৭ জনের বাড়ি ভাড়া নিশ্চিত হয়েছে। মক্কায় ৭ হাজার ২৭৪ জন এবং মদিনায় ৩ হাজার ২১৩ জনসহ মোট ১০ হাজার ৪৮৭ জন হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি,” ব‌লেও জানান উপ‌দেষ্টা।

তিনি বলেন, “আমার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে অব্যাহতভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়ি ভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত এরূপ এজেন্সির সংখ্যা ছিল ২১। কিন্তু এখন সেটা ৯টিতে নেমে এসেছে। বাড়ি ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করেনি এমন এজেন্সিগুলোকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।”

উপ‌দেষ্টা বলেন, “সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যেই সব হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করার জন্যও আমরা হজ এজেন্সিসমূহকে চিঠি দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “আমরা সব এজেন্সিকে অনুরোধ জানাব তারা যেন হজযাত্রীদের হজ পালনের স্বার্থে সৌদি সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাড়ি ভাড়ার রিকোয়েস্ট সাবমিট ও উক্ত রিকোয়েস্ট অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের সৌদি গমনের ক্ষেত্রে আশঙ্কা থেকে যায়।”

কতিপয় হজ এজেন্সির কমিটমেন্ট ও দায়বদ্ধতার অভাবে এখনও বেসরকারি মাধ্যমের ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রীকে নিয়ে শঙ্কার মধ্যে র‌য়ে‌ছেন জা‌নি‌য়ে খালিদ হোসেন বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো এজেন্সির অবহেলার কারণে একজন হজযাত্রীও যদি হজ করতে না পারেন, সে দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে। এ দায় কোনভাবেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহন করবে না। কোনো এজেন্সির অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে ধর্ম মন্ত্রণালয় বরদাস্ত করবে না।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনা ওয়াসা: প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ 
  • লালগালিচা দেখে চটে গেলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 
  • গণঅভ্যুত্থান কখনোই আইন মেনে চলে না, বরং আইন ভাঙার মাধ্যমেই শুরু হয়: ফরহাদ মজহার
  • ‘আমার জন্য কেউ আগাইয়া আসলো না’
  • বেপরোয়া নিরীক্ষা, ট্রাম্প বৈশ্বিক বিভাজনকারী
  • ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু আলোচনা এখনও বহু দূর
  • ‘চূড়ান্ত হয়‌নি ১০৪৮৭ হজযাত্রীর বা‌ড়ি ভাড়া, এজেন্সির অবহেলা বরদাস্ত করা হ‌বে না’
  • ১০ হাজার ৪৮৭ হজযাত্রী নিয়ে শঙ্কায় আছি: ধর্ম উপদেষ্টা
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩,৬০০
  • কবিতা