কবির মৃত্যুর চারশ বছর পর তাঁর হাতে লেখা বিরল কপি আবিষ্কৃত হয়েছে। সর্বকালের বিখ্যাত প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে এটি একটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লিয়া ভেরোনিজ ১৭ শতকের একটি কাব্যগ্রন্থে সংরক্ষিত উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘সনেট ১১৬’ সংস্করণটি আবিষ্কার করেছেন।
অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এলিয়াস অ্যাশমোলের সংরক্ষিত কিছু কাগজপত্রের মধ্যে এ পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। শেকসপিয়ারের অক্সফোর্ড বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমা স্মিথ এটিকে ‘রোমঞ্চকর আবিষ্কার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষক ড.
অ্যাশমোলের সংস্করণে, সনেট ১১৬– যাকে সত্যিকারের মনের বিয়ে বলেও পরিচিত– এর কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত লাইন যুক্ত করা হয়েছে।
ড. ভেরোনিস বলেছেন, তিনি মনে করেন পরিবর্তিত প্রথম লাইন এবং শেকসপিয়ারের উল্লেখ না থাকাই ‘এই কবিতাটি এত বছর ধরে সনেট ১১৬-এর অনুলিপি হিসেবে অলক্ষিত থাকার কারণ।’
সনেটটিতে ১৬৪০-এর রাজকীয় এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংঘটিত ইংরেজ গৃহযুদ্ধের দশকে ‘পলিটিক্যালি চার্জড’ রচনার পাশাপাশি বিবিধ অংশ রয়েছে।
অ্যাশমোল রাজতন্ত্রের একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন এবং সনেটে যোগ করা পঙ্ক্তিগুলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রতি আবেদন হিসেবে পড়া যেতে পারে।
অধ্যাপক স্মিথ আরও বলেন, ‘লেট মি নট টু দ্য ম্যারিজ অব ট্রু মাইনডস’ শেকসপিয়ারের সবচেয়ে বিখ্যাত সনেটের একটি। তবে এটি তাঁর সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল বলে মনে হয় না।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।
বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।
সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।