কবির মৃত্যুর চারশ বছর পর তাঁর হাতে লেখা বিরল কপি আবিষ্কৃত হয়েছে। সর্বকালের বিখ্যাত প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে এটি একটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লিয়া ভেরোনিজ ১৭ শতকের একটি কাব্যগ্রন্থে সংরক্ষিত উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘সনেট ১১৬’ সংস্করণটি আবিষ্কার করেছেন।
অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এলিয়াস অ্যাশমোলের সংরক্ষিত কিছু কাগজপত্রের মধ্যে এ পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। শেকসপিয়ারের অক্সফোর্ড বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমা স্মিথ এটিকে ‘রোমঞ্চকর আবিষ্কার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষক ড.
অ্যাশমোলের সংস্করণে, সনেট ১১৬– যাকে সত্যিকারের মনের বিয়ে বলেও পরিচিত– এর কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত লাইন যুক্ত করা হয়েছে।
ড. ভেরোনিস বলেছেন, তিনি মনে করেন পরিবর্তিত প্রথম লাইন এবং শেকসপিয়ারের উল্লেখ না থাকাই ‘এই কবিতাটি এত বছর ধরে সনেট ১১৬-এর অনুলিপি হিসেবে অলক্ষিত থাকার কারণ।’
সনেটটিতে ১৬৪০-এর রাজকীয় এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংঘটিত ইংরেজ গৃহযুদ্ধের দশকে ‘পলিটিক্যালি চার্জড’ রচনার পাশাপাশি বিবিধ অংশ রয়েছে।
অ্যাশমোল রাজতন্ত্রের একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন এবং সনেটে যোগ করা পঙ্ক্তিগুলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রতি আবেদন হিসেবে পড়া যেতে পারে।
অধ্যাপক স্মিথ আরও বলেন, ‘লেট মি নট টু দ্য ম্যারিজ অব ট্রু মাইনডস’ শেকসপিয়ারের সবচেয়ে বিখ্যাত সনেটের একটি। তবে এটি তাঁর সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল বলে মনে হয় না।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস (৩২) নিহত হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে আটটায় হ্যামিলটন হাইওয়ে–সংলগ্ন ব্যারুনাহ প্লেইনস এলাকায় তাঁর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ভিক্টোরিয়া পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস জিলংয়ের নর্লেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তাঁর স্ত্রী ঋতিকা চৌধুরী গত ফেব্রুয়ারিতে স্পাউস ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান।
তীর্থের পারিবারিক বন্ধু ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, নিহতের পরিবার চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা চন্দন বিশ্বাস চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
এ বছর ভিক্টোরিয়ার সড়কে এ পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের সমান। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। ড্যাশক্যাম (গাড়ির ভিডিও রেকর্ডার) ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। কেউ কিছু জানলে তথ্য দিতে অনুরোধ করেছে।
তীর্থ বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। নিহতের সৎকার ও পরিবারকে সহায়তা করতে স্থানীয় কমিউনিটি সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন।