কবির মৃত্যুর চারশ বছর পর তাঁর হাতে লেখা বিরল কপি আবিষ্কৃত হয়েছে। সর্বকালের বিখ্যাত প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে এটি একটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লিয়া ভেরোনিজ ১৭ শতকের একটি কাব্যগ্রন্থে সংরক্ষিত উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘সনেট ১১৬’ সংস্করণটি আবিষ্কার করেছেন।
অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এলিয়াস অ্যাশমোলের সংরক্ষিত কিছু কাগজপত্রের মধ্যে এ পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। শেকসপিয়ারের অক্সফোর্ড বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমা স্মিথ এটিকে ‘রোমঞ্চকর আবিষ্কার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষক ড.

লিয়া ভেরোনিজ বলেন, ‘আমি যখন পাণ্ডুলিপিটি পড়ছিলাম, তখন কবিতাটি আমার কাছে সনেট ১১৬-এর একটি অদ্ভুত সংস্করণ বলে মনে হয়েছিল। আমি যখন ক্যাটালগে (মূলত ঊনবিংশ শতাব্দীতে সংকলিত) দেখলাম, তখন কবিতাটিকে ‘অন কনস্ট্যান্সি ইন লাভ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল, তবে এতে শেকসপিয়ারের নাম উল্লেখ নেই।’
অ্যাশমোলের সংস্করণে, সনেট ১১৬– যাকে সত্যিকারের মনের বিয়ে বলেও পরিচিত– এর কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত লাইন যুক্ত করা হয়েছে।
ড. ভেরোনিস বলেছেন, তিনি মনে করেন পরিবর্তিত প্রথম লাইন এবং শেকসপিয়ারের উল্লেখ না থাকাই ‘এই কবিতাটি এত বছর ধরে সনেট ১১৬-এর অনুলিপি হিসেবে অলক্ষিত থাকার কারণ।’
সনেটটিতে ১৬৪০-এর রাজকীয় এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংঘটিত ইংরেজ গৃহযুদ্ধের দশকে ‘পলিটিক্যালি চার্জড’ রচনার পাশাপাশি বিবিধ অংশ রয়েছে। 
অ্যাশমোল রাজতন্ত্রের একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন এবং সনেটে যোগ করা পঙ্‌ক্তিগুলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রতি আবেদন হিসেবে পড়া যেতে পারে।
অধ্যাপক স্মিথ আরও বলেন, ‘লেট মি নট টু দ্য ম্যারিজ অব ট্রু মাইনডস’ শেকসপিয়ারের সবচেয়ে বিখ্যাত সনেটের একটি। তবে এটি তাঁর সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল বলে মনে হয় না।’ 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

গাইবান্ধায় অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর অংশ হিসেবে ফুলছড়ি থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে গাইবান্ধা শহরের হকার্স মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন (৫২) কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের সমিতির বাজার এলাকার মৃত হাসেন আলীর ছেলে এবং ফুলছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের আমলে এই অধ্যক্ষ রোকন সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ফুলছড়ির ত্রাস ছিলেন রোকন। সংসদ সদস্যর প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি, নিজের কলেজে ২০ জনের অধিক ভুয়া শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করে কোটি টাকার উপর অবৈধ অর্থ উপার্জন, বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ এবং গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, ডেভিড হান্ট অপারেশনে রোকন নামে এক যুবলীগ নেতাকে ফুলছড়ি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার  করে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ