পিআইবিতে ২ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
Published: 6th, March 2025 GMT
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদদাতাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে মোবাইল সাংবাদিকতাবিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
এতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর পিআইবি সেমিনার কক্ষে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক পারভীন সুলতানা রাব্বী ও প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম।
কর্মশালায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত ২৮ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম।
এ সময় পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “মিথ্যা এখন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সত্য-মিথ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বড় দায়িত্ব মূল তথ্য তুলে ধরা। সাংবাদিকদের এক চোখ দিয়ে না দেখে বহুচোখে দেখে তথ্য যাচাই করে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।”
তিনি বলেন, “সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গত ১৫ বছরে সাংবাদিকতাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে সবাইকে কাজ করতে হবে “
প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরির কৌশল, মক সেশন, ব্যবহারিক ক্লাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকরা বহুমুখী প্ল্যাটফর্মে প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশনে পারদর্শিতা অর্জন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা। আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত এ কর্মশালা চলবে।
ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।