রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত) সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ১৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে গতকাল বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ৯ দিনের সাঁড়াশি অভিযানে এ নিয়ে ২ হাজার ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সর্বশেষ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন ডাকাত, ২৪ জন পেশাদার ছিনতাইকারী, ৩ জন চাঁদাবাজ, ৩ জন চোর, ২০ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ২১ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িতরা রয়েছেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, বেশ কিছু মাদক, দুটি মুঠোফোন ও একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় ৬৪টি মামলা হয়েছে।

ডিএমপি আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ থানা এলাকায় ২ পালায় পুলিশের ৬৬৭টি টহল দল দায়িত্বপালন করেছে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ৭১টি তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করা হয়েছে।

ডিএমপির দলের পাশাপাশি মহানগরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে ২ পালায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ১৪টি, ৩ পালায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটি ইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে রাতে র‍্যাবের ১০টি টহল দল দায়িত্বপালন করে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এ ছাড়া ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির সংঘর্ষ-গোলাগুলি, ১০ বাইকে আগুন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১০টি মোটরসাইকেল। ভাঙচুর করা হয় কমপক্ষে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ পুরাতন থানার সামনে শিরাইল-নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ও জেলার সাবেক সহআইন সম্পাদক শাহ আলম মানিকের তিন শতাধিক অনুসারী পিস্তল, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আদমজী সড়কে বন্ধ ছিল যান চলাচল।

মনির হোসেনের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ইপিজেডে ১৭টি কারখানায় ঝুট ব্যবসা করেন। তাঁর পক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি এবং যুবলীগের পানি আক্তার একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। বৃহস্পতিবার আমার লোকজন ইপিজেডের ইউনিভার্সেল কারখানায় কিছু মালপত্র সরবরাহে গেলে সাগরের ক্যাডাররা মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে তারা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

তিনি বলেন, সাগরের ফুফাতো ভাই সোহাগ ডিএনডি ক্যানেলের ওপর থেকে আমার অনুসারীদের ওপর গুলি করেন। তারা ১৪-১৫ সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেন। পরে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে।

রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলেও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়ে গেছে। বিকেলে কয়েকজন ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা চালালে এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুর আলম জানান, আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ