রাজশাহীতে থানা ঘেরাওয়ের পর আবার গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ কর্মী
Published: 6th, March 2025 GMT
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা ঘেরাওয়ের পর অন্য মামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বিচ্ছাদকে (৫০) আবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত আড়াইটার দিকে নিজ বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার মো. বিচ্ছাদকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. বিচ্ছাদ নগরের বোয়ালিয়া থানার কেদুর মোড় মহল্লার বাসিন্দা। এর আগে গত সোমবার বিচ্ছাদকে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেন স্থানীয় লোকজন। পরদিন মঙ্গলবার বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ তাঁকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান। তবে জামিন পেয়ে বিচ্ছাদ সেদিনই এলাকায় ফেরেন। এতে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় লোকজন। রাতে তাঁরা বোয়ালিয়া থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ভাষ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সময় আওয়ামী লীগের অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন মো.
নতুন ওসি মোস্তাক হাসান বলেন, রাতে কেদুর মোড়ের বাড়ি থেকেই বিচ্ছাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ ত র জনত র
এছাড়াও পড়ুন:
‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে’
নারায়ণগঞ্জে উল্টোপথে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ায় যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের শাসিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, ‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে।’ ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযোগ ওঠা বিএনপি নেতা ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে। ঢাকার দিক আসা রেজা রিপনের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ভবনের অল্প দূরে উল্টোপথে চাষাঢ়ার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের পক্ষে যানজট নিরসনে থাকা শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকে দেন। তখন রেজা রিপন এক ছাত্রকে ডেকে বলেন, ‘কী সমস্যা?’ উত্তরে ছাত্রটি বলে, ‘এটি উল্টো দিক দিয়ে যাওয়ার গাড়ি না তো।’
এরপর রেজা রিপন বলেন, ‘তোমরা চেম্বার অব কমার্সের না? সোহেলকে (চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি) ফোন করো। ফোন করে জিজ্ঞেস করো হু আই এম? আমি এখান দিয়েই যাব, সরো।’ এটি বলে তিনি গাড়ির গ্লাস উঠিয়ে দিয়ে যেতে চান। উত্তরে ছাত্রটি বলে, ‘চেম্বার অব কমার্সের হলেও আমরা ছাত্র। সবার জন্য আইন সমান।’ চাষাঢ়াগামী রাস্তা দেখিয়ে তা সম্পূর্ণ ঠিক আছে বলেও জানায়। এর মধ্যে রেজা রিপনের পক্ষে বিএনপি এক কর্মী এসে ছাত্রদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়।
ওই সময় রেজা রিপনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে।’ গাড়ি আটকানো ছাত্রটি তখন ‘এটা বললে তো আর কিছু বলার নেই’ বলে গাড়িটি ছেড়ে দেন।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও বিকেএমইএ সহসভাপতি (অর্থ) সোহেল সারোয়ার বলেন, দ্বিতীয় রমজানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, যতটুকু শুনেছি রেজা রিপনের বাসায় ফেরার তাড়া ছিল। সে কারণে হয়তো যানজট এড়াতে উল্টোপথে যেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁর কটুকথা বলা উচিত হয়নি। তিনি ছাত্রদের বুঝিয়ে বলতে পারতেন। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক মুন্নি সর্দার বলেন, যাদের কাছ থেকে আমরা শিখব, তাদের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
তবে ঘটনাস্থলে থাকা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।