রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগপদ্ধতি সংস্কার এবং অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে অ্যাডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজনের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে মিছিলটি বের করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত চারজনের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনস্নাতকের ফল প্রকাশের আগেই প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ০৫ মার্চ ২০২৫

সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব আমানুল্লাহ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান, সদস্যসচিব আল শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আল শাহরিয়ার।

সমাবেশে মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা এত দিন চুপ ছিলাম শুধু বিভাজনের রাজনীতি চাইনি বলে। আমাদের এই নিশ্চুপ থাকায় সমন্বয়কদের বিভাগগুলোর শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। আমরা আজ স্পস্ট জানিয়ে দিচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নিয়োগ–বাণিজ্য আর চলবে না। সেই সঙ্গে সম্প্রতি অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।’

আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য কর্মকর্তা পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘পৃষ্ঠপোষক’কে নিয়োগ০৩ মার্চ ২০২৫

আমানুল্লাহ খান বলেন, ‘উপাচার্য বলেছেন, যাঁরা অ্যাডহক নিয়োগের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাঁরা আইন জানেন না, বোঝেন না। উপাচার্যকে বলতে চাই, যাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁরা আপনার ছাত্র এবং আপনার সঙ্গেই রাজপথের আন্দোলনকারী। আপনি আমাদের এ জ্ঞানকে ছোট করে দেখতে পারেন না। গণ–অভ্যুত্থানের পরে যে অ্যাক্ট উপাচার্যকে ফ্যাসিস্ট বানাতে পারে, সেই অ্যাক্ট থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

প্রশাসন ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আল শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডহক নিয়োগের আইন, এটা একক ক্ষমতার কারণে উপাচার্যকে স্বেচ্ছাচারী বানায়। সম্প্রতি উপাচার্য এ আইনে চারটি নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব নিয়োগ বাতিল করা না হলে প্রশাসন ভবনে আমরা তালা লাগাতে বাধ্য হব।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য অ য ডহক

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যস্ততা বেড়েছে জারদৌসি ও কারচুপি কারিগরদের

২ / ৯কাপড়ে নকশা করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ