কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্নাতক কোর্সে ভর্তি ও সেমিস্টার ফিসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীদের সংগঠন থিয়েটার।

কুবির ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরবর্তীতে স্বাক্ষরসহ এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর প্রদান করেন সংগঠনটির সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

কুবিতে উত্তেজনা: হল বন্ধ, পরীক্ষা স্থগিত

কুবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করেন। তাদের জন্য অতিরিক্ত ফি বহন করা কষ্টসাধ্য। বার্ষিক আয় বাড়ানোর কথা বলে শিক্ষার্থীদের উপর আর্থিক ধকল বাড়ানো অমানবিক। এক্ষেত্রে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাই। 

একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ থেকে আপনাদের বিরত থাকার অনুরোধ এবং তাদের জীবন পরিচালনায় সহজ করার জন্য সেমিস্টার ফি ৪০ শতাংশ কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া স্নাতকে ভর্তি ফি অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে, সেখান থেকেও ৪০ শতাংশ কমানোসহ বর্ধিত সব ধরনের ফি কমানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক হান্নান রাহিম বলেন, “২০১৮ সালে থিয়েটারের দাবির প্রেক্ষিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তি ফি কমানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন খাতে ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ আমরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছি।”

তিনি বলেন, “বার্ষিক আয় বাড়ানোর নাম করে শিক্ষার্থীদের উপর বিপুল অর্থের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। প্রশাসনকে বলতে চাই, আপনারা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ান, শিক্ষার্থীদের উপর কোনভাবে জুলুম করবেন না।”

দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. হায়দার আলী বলেন, “আমি স্মারকলিপিটি রেজিস্ট্রার বরাবর হস্তান্তর করেছি। পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সবাই আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

গত বছর ১৭ অক্টোবর রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, স্নাতক প্রথম বর্ষে ফি বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় বর্ষে ৫৫০ টাকা। স্নাতকোত্তরে (বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা ও আইন অনুষদে) ভর্তির ফি আগে ৭ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া হল ফি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। স্নাতকের নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রেও প্রায় ২ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প কম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

মেজর সিনহা হত্যায় প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও ৭ দিনের মধ্যে কার্যকরের দাবি

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছে এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

এই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল রাখার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলেছে, এই শুনানি শেষে রায় ঘোষণার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় রায় কার্যকর করার দাবিতে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি দেওয়া হবে।

আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন এমন দাবি জানিয়েছে। ‘শহীদ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওসি প্রদীপের মৃত্যুদণ্ড অনতিবিলম্বে কার্যকর করার দাবি’ ব্যানারে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে এক্স–ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলমান। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো হুমকি, প্রলোভন বা রাজনৈতিক চাপ যেন আপনাদের প্রভাবিত করতে না পারে। রায় ঘোষণার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে।’

সংগঠনটির দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘আশা করছি, চলমান শুনানি আগামী সপ্তাহেই শেষ হবে এবং উচ্চ আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখবেন।’

সংগঠনের সদস্যসচিব লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ করার অনুরোধ করেন। প্রদীপ, লিয়াকতসহ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবিও জানান তিনি।

এ মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুনসিনহা হত্যা: সেদিন যা ঘটেছিল৩১ জানুয়ারি ২০২২

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শাখাওয়াত হোসেন, মেজর (অব.) রাজিবুল হাসান, ক্যাপ্টেন (অব.) শুভ আফ্রিদি, করপোরাল (অব.) তফসীর আহমেদ, নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য সাইদ ও সাবেক সৈনিক মো. নাইমুল ইসলাম।

আরও পড়ুনআসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে২৪ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে ১৭ পাথর কোয়ারির ইজারা প্রদান স্থগিত করল সরকার
  • মাগুরায় সেই শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
  • ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার সুবিধাভোগী’ আখ্যা দিয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও এক সদস্যের অপসারণ চাইল ছাত্রদল
  • তাপমাত্রা কমতে পারে সোমবার
  • মেজর সিনহা হত্যায় প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও ৭ দিনের মধ্যে কার্যকরের দাবি
  • রাজধানীতে তীব্র গরম, ১১ জেলায় অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহ
  • বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন চাকরির সুযোগ
  • সংস্কারহীন নির্বাচন হলে গণ-অভ্যুত্থানের কর্মীরা কী করবেন
  • হৃদয়ের শাস্তি কার্যকর হবে এক বছর পর 
  • হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা বহালেও ফিরছেন না আম্পায়ার সৈকত