ভ্যাটিকানের মানব ভ্রাতৃত্ব সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 6th, March 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ভ্যাটিকান সিটিতে আগামী ১২-১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মানবভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।
ভ্যাটিকানের ফন্ডাজিওনে ফ্রাতেল্লি তুত্তির মহাসচিব ফাদার ফ্রান্সেস্কো ওক্কেত্তা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ব্যক্তিগতভাবে এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
সাক্ষাতের সময় ওক্কেত্তা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের বৈশ্বিক প্রভাবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আপনি একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা, আপনি এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।”
আরো পড়ুন:
চীনের গ্রাম ও নগরায়নের সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে ঢাকায় সেমিনার
গঙ্গার পানি প্রবাহ খতিয়ে দেখলেন ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের সদস্যরা
মানব ভ্রাতৃত্ব বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনকে একটি ঐতিহাসিক আয়োজন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিশ্বনেতা, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং চিন্তাবিদরা একত্রিত হবেন ঐক্য, শান্তি ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য।
এই আয়োজনে ‘টেবিলস অব হিউম্যানিটি’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি খসড়া করা হবে, যেখানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সার্বজনীন নীতিমালা নির্ধারণ করা হবে এবং পোপ ফ্রান্সিসের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী একটি নতুন মানব সনদ গঠনের দিকনির্দেশনা থাকবে।
সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক বিশাল জনসমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা এই সম্মেলনের অন্যতম বৃহৎ আয়োজন হবে। পাশাপাশি, এতে বৈশ্বিক কনসার্ট, আলোচনা সভা ও প্রতীকী মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা থাকবে, যা মানব ভ্রাতৃত্বের মূলনীতিগুলোকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করবে।
ওক্কেত্তা অধ্যাপক ইউনূসকে জানান, বিশ্বের বিশিষ্ট নেতারা এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন।
সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং তার প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “তিনি একজন অসাধারণ মানুষ।”
জবাবে ওক্কেত্তা বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা শুধু আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসিনি বরং বাংলাদেশকে সমর্থন, যত্ন ও ভালোবাসা জানাতেও এসেছি।”
অধ্যাপক ইউনূস এই আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি এই সম্মেলনের জন্য আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছি।”
ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসের ‘থ্রি জিরো প্রিন্সিপল’-শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ-এর প্রতি স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা তার রূপান্তরমূলক নেতৃত্ব ও ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্ব গঠনের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মোশাররফ-তানিয়ার ‘খুচরা পাপী’
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। ছোটপর্দার পাশাপশি বড়পর্দায়ও বাজিমাত করেন এই অভিনেতা। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম তানিয়া বৃষ্টি। এবার ‘খুচরা পাপী’ শিরোনামের নাটকে অভিনয় করলেন তারা। জুয়েল এলিন রচিত নাটকটির কাহিনি ও পরিচালনা করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম।
এরই মধ্যে নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরে এনটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে বলে নিশ্চিত করেছেন এই নির্মাতা।
দীর্ঘ বিরতির পর জিয়াউদ্দিনের নির্দেশনায় কাজ করলেন মোশাররফ করিম। এ তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পর আলমের নির্দেশনায় অভিনয় করলাম। যে সময়টাতে আলমের নির্দেশনায় সর্বশেষ কাজ করেছি তখন নির্দেশনায় একেবারেই নতুন ছিল। অনেক দিন ধরেই তার ইচ্ছা ছিল আমাকে নিয়ে একটি কাজ করার। কাজ করতে এসে দেখলাম আলম আগের চেয়ে অনেক গোছানো। কাজটা বেশ ভালোই বুঝে। তার গল্প নির্বাচনটাও ভালো।”
আরো পড়ুন:
এর চেয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত আর হতে পারে না: ফারিয়া
ফের একসঙ্গে তারা
সহশিল্পী তানিয়া বৃষ্টির প্রশংসা করে মোশাররফ করিম বলেন, “তানিয়া বৃষ্টি অত্যন্ত মেধাবি একজন অভিনেত্রী। আমার সঙ্গে তার বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছে। তানিয়া তার অভিনয়ে ভীষণ মনোযোগী এবং তার সেরাটাই সে দেওয়ার চেষ্টা করে। আশা করছি, ‘খুচরা পাপী’ নাটকটি দর্শককে মুগ্ধ করবে।”
তানিয়া বৃষ্টির কাছে মোশাররফ করিম অভিনয়ের ‘পাঠশালা’। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে যতগুলো নাটকে অভিনয় করেছি প্রত্যেকটি নাটকে অভিনয়ের জন্য ভীষণ সাড়া পেয়েছি। আমার কাছে তিনি অভিনয়ের পাঠশালা। তার সঙ্গে যতই কাজ করি, ততই আমি আমার নিজেকে সমৃদ্ধ করি। আলম ভাই বেশ গোছানো একজন পরিচালক। কাজটি নিয়ে খুবই আশাবাদী।”
‘খুচরা পাপী’ নাটকে আরো অভিনয় করেছেন— হারুন রশীদ বান্টি, রকি খান, মারিয়া, সীমান্ত, সুমাইয়া মির্জা, জুলফিকার চঞ্চল, ইমরান আজান, সিদ্দিক মাস্টার প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত