নৈতিকতার মানদণ্ডে সবাইকে পরিচিত হতে হবে : ডিসি
Published: 6th, March 2025 GMT
আমরা যদি সেই দেশ প্রেমে নিজেদের জাগ্রত করতে না পারি। আমরা যদি আকাদের প্রতিটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমাদের আন্তরিকতা প্রকাশ করতে না পারি। আমরা মনে করি তাহলে তাদের প্রতি যথাযথ ভাবে সম্মান দেখানো হবে না। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক এই কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আরও বলেন, ২৫ শে মার্চ বাঙালী জাতিকে মেরুদণ্ডহীন করার লক্ষ্যে পৃথিবীর ইতিহাসে নির্মম এবং নিষ্ঠুরতম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিলো সেজন্য আমরা পাক হানাদার বাহিনীকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। আমরা বিশ্বাস করি তারা যে উদ্দেশ্যে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো তারা তাদের সফলতা পায়নি। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করি আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ প্রেমের যে কাব্য রচনা করে ছিলো। আমারা যারা দেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছি তাদের মধ্যে যদি দেশ প্রেম জাগ্রত না হয় তাহলে আমাদের সে লক্ষ্য, যে লক্ষ্য নিয়ে তারা মুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো দেশের স্বাধীনতার জন্য। দেশকে অন্য একটি দেশের বৈষম্য থেকে, তাদের নির্যাতন থেকে কথা ভাবে দূর করে আমাদের একটি নতুন দেশ দেওয়ার জন্য তারা ঝাপিয়ে পড়েছিলো।
আমরা যদি সেই দেশ প্রেমে নিজেদের জাগ্রত করতে না পারি। আমরা যদি আকাদের প্রতিটি জাতীয় অনুষ্ঠানে আমাদের আন্তরিকতা প্রকাশ করতে না পারি। আমরা মনে করি তাহলে তাদের প্রতি যথাযথ ভাবে সম্মান দেখানো হয় না আমরা বিশ্বাস করি,আমাদের এই ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রাম যেটি আমরা সকাল বেলা তোপধ্বনির মাধ্যমে আমরা শুরু করবো এরপর ফুল দেওয়া থেকে শুরু করে সব গুলো কার্যকমে সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আমরা চাই সেদিন পুরো নারায়ণগঞ্জে নতুন জাতীয় পতাকা উড়বে। আমরা নতুনত্বের স্বাদ নিয়ে এবার স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি আপনারা এগিয়ে আসবেন। এই দিবসের ভাবগাম্ভীর্যতা রক্ষা করে এবং গুরুত্বকে উপলিব্ধি করে এবং আমাদের আগামী প্রজন্মকে বুঝাতে হবে, যে এই দেশ স্বাধীন এমনিই হয়নি।
অনেক ত্যাগ অনেক রক্তের বিনিময়ে এই দেশে স্বাধীনতা এসেছে। এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে কমিটমেন্ট ছিলো দেশের প্রতি আমরা যদি আমাদের দেশকে সেই উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা যে ধরনের সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের নৈতিকতার মানদণ্ডে সবাইকে পরিচিত হতে হবে।
তিনি বলেন, আমার খুব খারাপ লাগে কেনো জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য কমিটি গঠন করা লাগবে? কেনো আমার এইটুকু নৈতিকতা থাকবেনা।কেনো বিশেষ দিনে খাবার দিবে সেটি আমার টিম দিয়ে পাঠাতে হবে। সেই নৈতিকতার মানদণ্ডে কেনো উত্তীর্ণ হবো না। এটি আমার দায়িত্ব,আমার কর্তব্য এটি আমার করতে হবে। আজব কেনো সেটি আমাকে চাপিয়ে দিতে হবে।
আমরা কবে এই চাপানো থেকে বের হয়ে আসতে পারবো। নিজের কাধে দায়িত্ব নিয়ে আমাদের কাজ করতে পারবো। আমরা নিজের কাধে দায়িত্ব নিয়ে এই দেশ গড়ার কাজে একভূত হয়ে কাজ করতে হবে। যদি সেটি না পারি আমাদের সেই কাঙ্খিত সমাজ আমারা বিশ্বের সাথে যে প্রতিযোগিতায় থাকতে চাই সেটি আমরা থাকতে পারবো না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব শ ব স কর আম দ র ন ত কত
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে রনি নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১নং মাধবপাশা সেনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি (৩০) বন্দরের ১নং মাধবপাশা এলাকার ছলিমউদ্দিন ওরফে ছৈল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক কারবারি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এসবের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রনির চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কিছু দিন সে পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করে। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সম্প্রতি মাধবপাশা, সেনপাড়াসহ আশপাশের ৫ গ্রামের মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এরপর গা-ঢাকা দেয় রনি।
রোববার এলাকায় ফিরে এসে মাসুদ মিয়ার ছেলে রাসেলকে মারধর করে রনি। এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাধবপাশার হাজী নূর বক্স রোডে রনিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় রনিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।