টেকনাফে নৌবাহিনী-পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত ডাকাত গ্রেপ্তার
Published: 6th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে এক নারী সহযোগীসহ কুখ্যাত ডাকাত আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তিনটি লম্বা দা ও শতাধিক ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টায় টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আবুল খায়ের (৩১) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লামার পাড়ার বাসিন্দা। তার সহযোগী কোহিনূর আক্তার (২৮) হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘঘোনা এলাকার বাসিন্দা।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে টেকনাফ থানায় আটটির বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
তিনি বলেন, “বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লামার পাড়ায় কুখ্যাত ডাকাত আবুল খায়ের অবস্থান করছে— এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও নৌবাহিনীর যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের একপর্যায়ে বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। সেসময় সে জলাশয়ে ঝাঁপ দেয়। পরে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “গ্রেপ্তার ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাঘঘোনা এলাকার অপর একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে এক নারী সহযোগীকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি লম্বা দা ও শতাধিক ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
ঢাকা/তারেকুর/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক তাকবির আমানসহ (২৪) চার জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগীর পিতা মো. সালাম (৪৫) বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার তাকবির আমান (২৪), মিনহাজ (২৫), সৈকত (২৪) ও মিজমিজি কালু হাজির রোড এলাকার তানবির (২৪)। তাকবির আমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক।
অভিযোগে বাদী জানান, আমার মেয়ে মিজমিজি পাইনাদি রেকতম আলী উচ্চ বিদ্যালয় ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। আমার মেয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় বিবাদী তাকবির আমান (২৪) বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে আসছিল। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাদের জানালে আমরা তাকে সতর্ক করি এবং তার অভিভাবকদের ঘটনা জানাই।
এর জেরে সোমবার ৭ এপ্রিল আমি এবং আমার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে বাসায় রেখে কাজে গেলে বিকেলে তাকবির আমার বাসায় যায়। এসময় আমি বাসায় ফোন করলে ছেলের কাছ থেকে জানতে পারি যে আমার মেয়েকে তাকবির জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় আমার মেয়ের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে বিবাদীকে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে।
পরবর্তীতে তাকবিরের পবিবারের লোকজনদের খবর দিলে তার আরো ৫০/৬০জন অজ্ঞাত লোকজন ডেকে নিয়ে এসে তাকবিরকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক তাকবির আমানের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনুর আলম জানান, ওদের একে অপরের সাথে প্রেম ছিল। মেয়েটি বিয়ের জন্য দাবি করে আসছিল। ছেলেটি বিয়ে না করায় মেয়েটি এই অভিযোগ আনছে।