ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের ৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৮৩৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া এ দম্পতির বিরুদ্ধে ৬৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। 

এসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে দুদক উপপরিচালক মো.

সোহানুর রহমান বাদী হয়ে লাক মিয়ার বিরুদ্ধে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা করেন। লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান।

লাক মিয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউপি চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ। নিজের দুর্নীতির টাকা রেখেছেন স্ত্রীর নামেও। 

লাক মিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার। তার নিজের ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। 

আরেক মামলার এজাহারে বলা হয়, লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে তার নামের ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই মামলায় স্বামী লাক মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। মাহমুদা বেগম অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধ সম্পদ: সাবেক ভূ‌মিমন্ত্রীর বিরু‌দ্ধে মামলা

দুর্নী‌তির মাধ‌্যমে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা-৫ এর সা‌বেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূ‌মিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরু‌দ্ধে মামলা ক‌রে‌ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা‌টি ক‌রেন দুদ‌কের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম। খুলনা মামলা (খুলনা জেলা) নম্বর ৩, তারিখ: ০৩/০৩/২০২৫।

আসা‌মি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ভূ‌মিমন্ত্রী হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলার এজাহা‌রে বলা হয়, আসা‌মি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নামে ১,৪৪,৭৭,৪০০ টাকার স্থাবর ও ২,০৫,২৫,১৬৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট (১,৪৪,৭৭,৪০০+২,০৫,২৫,১৬৬)=৩,৫০,০২,৫৬৬ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এ সময়ে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩,০৯,৯৩,৩২৮ টাকা এবং পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় পাওয়া যায় ১,৩৯,৫৯,১৩৯ টাকা। উক্ত ব্যয় ব্যতিত সম্পদ অর্জনের জন্য নীট আয়/সঞ্চয় পাওয়া যায় (৩,০৯,৯৩,৩২৮ ১,৩৯,৫৯,১৩৯) ১,৭০,৩৪,১৮৯ টাকা। সে অনুযায়ী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ (৩,৫০,০২,৫৬৬ ১,৭০,৩৪,১৮৯)=১,৭৯,৬৮,৩৭৭ টাকা।

এ অবস্থায় আসামি নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরুদ্ধে খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা করা হ‌য়ে‌ছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউপি চেয়ারম্যান দম্পতির ৬৩ ব্যাংক হিসাব, লেনদেন ১৪,৮৩৭ কোটি টাকা
  • ইউপি চেয়ারম্যান দম্পতির ৬৩ ব্যাংক হিসাব, লেনদেন ১৪,৩৭৬ কোটি টাকা
  • টিপু মুনশি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • অবৈধ সম্পদ: স্ত্রীসহ টিপু মুনশির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • ইবিতে ‘স্বাধীনতা বিরোধীর’ নামে হল, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • সাবেক মন্ত্রী গাজী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দুটি মামলার অনুমোন
  • সাবেক মন্ত্রী গাজী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দুটি মামলার অনুমো
  • অবৈধ সম্পদ: সাবেক ভূ‌মিমন্ত্রীর বিরু‌দ্ধে মামলা