নড়াইলের লোহাগড়ার উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ছত্রহাজারি গ্রামে গরুতে গম খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নড়াইল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকালের দিকে নোয়াগ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ছত্রহাজারি গ্রামের শরিফুল কাজী সমর্থিত মানু কাজীর গরুতে শাহিদ মিনার ক্ষেতে গম খায়। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শুরু হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষে নারীসহ ২০ আহত হয়েছেন। 

আহতরা হলেন- রুবেল মীনা, হোসেন শেখ, সাইফুল শেখ, আশকার মীনা, মনিরুল শেখ, শাহাবুল শেখ, পান্নু শেখ, শাহিদ মীনা, শরিফুল কাজী, সাহিদা বেগম, তাহমিনা খানম, পারুল বেগম, মিজানুর মীনা, সাগর কাজী, শহীদ মিনা, আতাউর রহমান কাজীসহ আরও অনেকে।

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের ডাক্তার আবুল হাসনাত জানান, গুরুতর আহত সাইফুল শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা/শরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের টাকায় বেক্সিমকোর শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ শুরু রোববার

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফ ঘোষণা করা ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওসমান কায়সার চৌধুরীর কাছে চেক হস্তান্তর করেন।

আগামী রোববার থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মচারীর পাওনাদি পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে। খবর বাসসের

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সই করা নোটিশে জানানো হয়, কারখানায় কোনো কাজ না থাকায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কারখানাগুলো লে-অফ ঘোষণা করা হলো।

আরও উল্লেখ করা হয়, কোনোভাবেই কাজের সংস্থান না থাকায় কারখানাগুলো ১৬ (৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানার সব শ্রমিককে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ছাঁটাই করা হলো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ