Risingbd:
2025-04-09@20:15:32 GMT

নতুন অস্ত্র তৈরি করছে ইরান

Published: 6th, March 2025 GMT

নতুন অস্ত্র তৈরি করছে ইরান

ইরানের সেনাবাহিনী এবং ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস গত তিন মাস ধরে বৃহৎ আকারের সামরিক মহড়ায় নতুন প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক অস্ত্র প্রদর্শন ও পরীক্ষা করছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা, গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো এবং সামরিক স্থাপনাগুলিতে বোমা হামলার হুমকির মধ্যে দেশটি আরও একটি অস্থির বছরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজায় ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলের উপর তৃতীয়বারের মতো বড় সামরিক হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে। একতেদার, জোলফাকার এবং গ্রেট প্রফেট - এই মহড়াগুলো ইরান, ওমান সাগর এবং উত্তর ভারত মহাসাগরজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অস্ত্র পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে, ইরান ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের প্রতি তার অবাধ্যতা বজায় রাখতে চায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির অধীনে তার সাথে আলোচনা করতে অস্বীকার করছে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে।

আইআরজিসি তিনটি প্রধান ভূগর্ভস্থ সামরিক ঘাঁটি উন্মোচন করেছে। কমান্ডাররা জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এই ঘাঁটিকে ‘ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি’ বলে অভিহিত করেছে। এই ঘাঁটির ভেতরে কয়েক ডজন ব্যালিস্টিক প্রজেক্টাইল দেখা যাচ্ছিল।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে:

খোররামশাহর-৪, একটি তরল জ্বালানি রকেট যার পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার, তরল জ্বালানি রকেট জাহাদ, যা ওয়ারহেড সহ এক হাজার কিলোমিটার (৬২১ মাইল) পর্যন্ত যেতে পারে, কঠিন জ্বালানি-চালিত রকেট এল৩৬০,  যা 150 কেজি বিস্ফোরক বহন করে ১৮০ কিলোমিটার  যেতে পারে এবং দুই-পর্যায়ের রকেট কদর,   যা দুই কিলোমিটার দূর আঘাত হানতে পারে।

ইরান একটি মহড়ার অংশ হিসেবে শত্রুপক্ষের ড্রোনকে আটকাতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি নতুন রাশিয়ান তৈরি ইয়াক-১৩০ ব্যবহার করেছিল। ইরান দীর্ঘদিন ধরে অর্ডার করেও পায়নি এমন উন্নত সুখোই-৩৫ যুদ্ধবিমানের পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মস্কো থেকে সাবসনিক দুই আসনের ইয়াক-১৩০ জেটটি সরবরাহ করা হয়েছিল।

রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও ইরানের কাছে নিজেদের তৈরি বাভার-৩৭৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এটি ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম। ইরানের অস্ত্রাগারে বছরের পর বছর ধরে থাকা আরো বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৫-খোরদাদ, মাজিদ, আরমান, জুবিন এবং তোন্ডার।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কামরাঙ্গীরচরে চা দোকানিকে মারধরের পর হাতবোমার বিস্ফোরণ, পরে গণপিটুনিতে দুজন নিহত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গণপিটুনিতে মো. মাসুদ (২৯) ও নাদিম (৩৫) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহাগ (৩০) নামের একজন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের সিলেটিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনির শিকার ৩ ব্যক্তিসহ ৯–১০ জন কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে সিলেটি বাজার এলাকার চা দোকানদার নূর মোহাম্মদকে চাঁদাবাজির মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হলে তাঁরা নূর মোহাম্মদকে কুপিয়ে জখম করেন। নূর মোহাম্মদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করেন। পাঁচ–ছয়জন পালিয়ে যেতে পারলেও তিনজনকে কয়েক হাজার মানুষ ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন।

পুলিশের লালবাগ অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনিতে মাসুদ ঘটনাস্থলে মারা যান। থানা–পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে নাদিম ও সোহাগকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। সোহাগ গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ