ইউপি চেয়ারম্যান দম্পতির ৬৩ ব্যাংক হিসাব, লেনদেন ১৪,৩৭৬ কোটি টাকা
Published: 6th, March 2025 GMT
ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাক মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের ৬৩ ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৫০১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া এ দম্পতির আরও ৬৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব অভিযোগে বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে দুদক উপপরিচালক মো.
লাক মিয়া নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দি ইউপি চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অংকের অর্থের মালিক হয়েছেন। নিজের দুর্নীতির টাকা রেখেছেন স্ত্রীর নামেও।
লাক মিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার। তার নিজের ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে তার নামের ১৪টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪৬১ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই মামলায় স্বামী লাক মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। মাহমুদা বেগম অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল নদ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অবৈধ সম্পদের মামলায় শাহরিয়ার ও জ্যাকব
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে জ্যাকবের স্ত্রী নিলীমা নিগার সুলতানার বিরুদ্ধেও সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রথম মামলায় শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে ৬টি ব্যাংক হিসাবে ২৬০ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এর আগেই, ২৩ ডিসেম্বর আদালত তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
অন্যদিকে, পৃথক মামলায় আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজার ৯২৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি ব্যাংক হিসেবে মোট ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৪১০ টাকা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া, জ্যাকবের স্ত্রী নিলীমা নিগার সুলতানার নামে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়ায়, তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ