ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ১৪ মার্চ থেকে
Published: 6th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী ১৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে, যা চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। এ সময় যাত্রীরা ২৪ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে যাত্রার জন্য ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানায়, ১৪ থেকে ২৪ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে এবং এদিন থেকে শুরু হতে পারে ট্রেনে ঈদযাত্রা। এ ছাড়া, ঈদযাত্রার জন্য বিশেষ ট্রেন চালানো হবে, তবে কতগুলো বিশেষ ট্রেন চলবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে রুট চূড়ান্ত করা হবে।
এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রার জন্য অতিরিক্ত ট্রেনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩৬টি অতিরিক্ত কোচ ট্রেনে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মিটারগেজ ও ব্রডগেজ কোচ পাহাড়তলী ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে আনা হবে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রমজান উপলক্ষে কালীগঞ্জ প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল নিয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় সুলভ মূল্যে ৭০ টাকা লিটার দুধ, ২৭০ টাকা ক্যারেট ডিম বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রথম রমজান থেকে রবিবার (২ মার্চ) সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও সোমবার (৩ মার্চ) উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ।
এ সময় সুলভ মূল্যে মাংস কিনতে আসা অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরে যান। তাদের অভিযোগ যে জিনিস নেই তার কথা ব্যানারে লেখা হয়েছে কেন? স্বল্প আয়ের মানুষেরা আরো দাবি করেন যে পরিমাণ দুধ ও ডিম আনা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
এ সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমরা মাংস বিক্রি করবো। কসাই পাচ্ছিনা। তাছাড়া দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছেনা।”
তিনি বলেন, “আমরা সামনের দিন থেকে মুরগীর মাংসের ব্যবস্থা করবো। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা দুধ ও ডিম বিক্রি করা হবে। একজন মানুষ এক লিটার দুধ ও এক ক্যারেট ডিম কিনতে পারবে।”
ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, “বাজারে দুধ ও ডিমের দাম একটু বেশি থাকায় অনেকেই কিনতে পারছেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সূলভ মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। মানুষের সাড়া পেলে পুরো রমজান মাস জুড়েই এ কর্মসূচি চলবে। এখান থেকে সরবরাহকৃত জিনিস শতভাগ নিরাপদ। আমাদের আশা, এ কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি দেখলাম ব্যানারে মাংস লেখা আছে কিন্তু মাংস বিক্রি করছে না। তারা কিছু সমস্যার কথা বললো সেটা শুনেছি। পাশাপাশি গরুর মাংসের ব্যবস্থা না করতে পারলেও যেন ব্রয়লার মুরগির ব্যবস্থা করেন সেই নির্দেশনা দিয়েছি।”
ঢাকা/রফিক/টিপু