জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা চার শিক্ষক-কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড দিয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতা এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুয়েট সিন্ডিকেট।

চারজনের মধ্যে তিনজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অপরজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তারা হলেন- রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও রুয়েটের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিদ্ধার্থ শংকর সাহা; প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী ও রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডাটা প্রসেসর ও কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো.

মহিদুল ইসলাম।

এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক হারুন অর রশিদকেও তার চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়া রুয়েটে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

রুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, নির্যাতন-সহিংসতায় সম্পৃক্ততা, আওয়ামী সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার অভিযোগও আছে এই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তবে ৫ আগস্ট পরবর্তীতে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।’’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘‘বরখাস্ত হওয়া রুয়েট কর্মকর্তা নাঈম রহমান নিবিড় ও মহিদুল ইসলাম গত ৪ আগস্ট ধারালো অস্ত্রসহ রুয়েটের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া ও বোমা হামলায় সংশ্লিষ্টতা দৃশ্যমান হয়। আর শিক্ষক সিদ্ধার্থ শংকরকে জুলাইবিরোধী অবস্থান, আন্দোলনে আহত ও নিহতদের অবমাননার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল। তাকে বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন এবং প্রশাসনের কাছে আবেদনপত্র দেন।’’

ঢাকা/কেয়া/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত অবস থ ন বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

শেকসপিয়ারের প্রেমের কবিতার কপি

কবির মৃত্যুর চারশ বছর পর তাঁর হাতে লেখা বিরল কপি আবিষ্কৃত হয়েছে। সর্বকালের বিখ্যাত প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে এটি একটি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লিয়া ভেরোনিজ ১৭ শতকের একটি কাব্যগ্রন্থে সংরক্ষিত উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘সনেট ১১৬’ সংস্করণটি আবিষ্কার করেছেন।
অক্সফোর্ডের অ্যাশমোলিয়ান জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা এলিয়াস অ্যাশমোলের সংরক্ষিত কিছু কাগজপত্রের মধ্যে এ পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। শেকসপিয়ারের অক্সফোর্ড বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এমা স্মিথ এটিকে ‘রোমঞ্চকর আবিষ্কার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষক ড. লিয়া ভেরোনিজ বলেন, ‘আমি যখন পাণ্ডুলিপিটি পড়ছিলাম, তখন কবিতাটি আমার কাছে সনেট ১১৬-এর একটি অদ্ভুত সংস্করণ বলে মনে হয়েছিল। আমি যখন ক্যাটালগে (মূলত ঊনবিংশ শতাব্দীতে সংকলিত) দেখলাম, তখন কবিতাটিকে ‘অন কনস্ট্যান্সি ইন লাভ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল, তবে এতে শেকসপিয়ারের নাম উল্লেখ নেই।’
অ্যাশমোলের সংস্করণে, সনেট ১১৬– যাকে সত্যিকারের মনের বিয়ে বলেও পরিচিত– এর কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত লাইন যুক্ত করা হয়েছে।
ড. ভেরোনিস বলেছেন, তিনি মনে করেন পরিবর্তিত প্রথম লাইন এবং শেকসপিয়ারের উল্লেখ না থাকাই ‘এই কবিতাটি এত বছর ধরে সনেট ১১৬-এর অনুলিপি হিসেবে অলক্ষিত থাকার কারণ।’
সনেটটিতে ১৬৪০-এর রাজকীয় এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংঘটিত ইংরেজ গৃহযুদ্ধের দশকে ‘পলিটিক্যালি চার্জড’ রচনার পাশাপাশি বিবিধ অংশ রয়েছে। 
অ্যাশমোল রাজতন্ত্রের একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন এবং সনেটে যোগ করা পঙ্‌ক্তিগুলো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আনুগত্যের প্রতি আবেদন হিসেবে পড়া যেতে পারে।
অধ্যাপক স্মিথ আরও বলেন, ‘লেট মি নট টু দ্য ম্যারিজ অব ট্রু মাইনডস’ শেকসপিয়ারের সবচেয়ে বিখ্যাত সনেটের একটি। তবে এটি তাঁর সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল বলে মনে হয় না।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ