বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউরসহ ২৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 6th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অপর ২১ জন হলেন এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বালাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের নামে মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে এননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে এননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে ২৯৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, এননটেক্স কোম্পানির নামে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ২০২২ সালে এ ঋণের অনিয়ম তদন্ত করে তাঁদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় অভিযোগের পরিসমাপ্তি টেনেছিল দুদক।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জনতা ব্যাংকের ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জনতা ব্যাংকের ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক খাতের আলোচিত গ্রাহক এননটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জালাল উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১১৫ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার ৫৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ব্যবসার পুঁজি না থাকা সত্ত্বেও কোনো যাচাই–বাছাই না করে জনতা ব্যাংক মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডকে ঋণ দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাত করেছেন। মামলার বাকি চার আসামি হলেন মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক আবদুল্লাহ সিদ্দিক, জনতা ব্যাংকের সাবেক এসইও মোহাম্মদ শামীম হোসেন, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবদুর রশীদ ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুনজমি বেচে এননটেক্সকে ঋণ শোধের সুযোগ দিল জনতা ব্যাংক০৪ জুন ২০২৪সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের সবচেয়ে বড় গ্রাহক এননটেক্স গ্রুপ। জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রুপটির নেওয়া প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি। এ জন্য ব্যাংকটি পড়েছে বিপদে। এ অবস্থায় এই ঋণের দায়–দায়িত্ব নির্ধারণে গ্রুপটির ঋণের ওপর পরিপূর্ণ নিরীক্ষা (ফাংশনাল অডিট) করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আড়াই বছরেও নিরীক্ষা শেষ করতে পারেনি জনতা ব্যাংক।
এখন গ্রুপটির ২২টি প্রতিষ্ঠানের কোনোটির মালিকানা ও শেয়ারের যেন পরিবর্তন না হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ঋণে এননটেক্স গ্রুপের কর্ণধার ইউনুছ বাদলের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি নেওয়াসহ জনতা ব্যাংককে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।