মুরগির খামারে মিলল ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম
Published: 6th, March 2025 GMT
নাটোরের লালপুরে একটি খামারে ১৮০ গ্রাম ওজনের একটি মুরগির ডিম পাওয়া গেছে। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত মুরগির ডিমের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। সেখানে এই বিশাল আকৃতির ডিম দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী। ডিমটি দেখতে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়ার খামারে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গোলাম কিবরিয়ার খামারে তাঁর মা মোছা.
আরো পড়ুন:
শ্রীমঙ্গলে বিনা লাভে মুরগি-ডিম বিক্রির উদ্বোধন
চট্টগ্রামে ১৩০ টাকা ডজন দামে ডিম বিক্রি
খামার মালিক গোলাম কিবরিয়া জানান, পাঁচ মাস আগে তিনি নিজ বাড়িতে লেয়ার মুরগির খামার শুরু করেন। এক মাস ধরে মুরগিগুলো নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। তাঁর মায়ের কাছে ব্যতিক্রম একটি ডিমের কথা শোনেন। খামারে এসে ডিমটি সংগ্রহ করে ডিজিটাল স্কেলে পরিমাপ করে দেখেন ওজন ১৮০ গ্রাম। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন।
তবে কোন মুরগি এই ডিম পেড়েছে চিহ্নিত করতে পারেননি তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, সাধারণত লেয়ার মুরগির ডিম ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। কোনো মুরগি অনিয়মিত ডিম দিলে তার ডিমে একাধিক কুসুম থাকতে পারে। যার ফলে ওজন ৮০-১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পাওয়া বিরল ঘটনা। তিনি আরও জানান, তাঁর চাকরিজীবনে মুরগির এত বড় ডিমের কথা এই প্রথম শুনলেন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৮০ গ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দেন। ঢাকার রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁর এ ঘোষণার পর স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করতে থাকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। এক পর্যায়ে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হলে বঙ্গবন্ধু ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারাদেশে হরতালের ডাক দেন। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের বিশাল সমাবেশ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সেখানেই বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেওয়ার কথা জানান।
৭ মার্চ বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে ওঠেন। ফাল্গুনের সূর্য তখনও মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। দরাজ কণ্ঠে তাঁর ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি...।’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ প্রায় ১৮ মিনিটের ভাষণ। ভাষণে বঙ্গবন্ধু সামরিক আইন প্রত্যাহার, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে হত্যাযজ্ঞ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভায়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করব। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিতে চাই– আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’
বঙ্গবন্ধু সেদিন সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও এটি ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের গ্রিন সিগন্যাল। এই ভাষণে ছাত্র-জনতা স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসজুড়ে ভাষণটি ছিল লড়াকু মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পথনির্দেশ।