পকেট কমিটির অভিযোগ তোলায় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান, ক্ষমা চাইলেন কনকচাঁপা
Published: 6th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী রোমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ শ্লোগানে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন উপস্থিত দলের নেতাকর্মীরা।
পরে ‘স্যরি’ বলে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে রক্ষা পান কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। এ সময় অন্য নেতারা মাইক হাতে নিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত করেন। পরে তিনি বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চে বসে থাকেন। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে নিজ প্রাইভেটকারে সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। ওই সময় কনকচাঁপাকে লক্ষ্য করে আবারও ভুয়া ভুয়া দুয়োধ্বনি দিতে দেখা নেতাকর্মীদের।
এর আগে বুধবার দুপুরে আলম চৌরাস্তায় কাজিপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর সংসদীয় আসনের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা এই ধরনের মন্তব্য করেন। মন্তব্যের পর তার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
সভায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান লেবু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, রকিবুল করিম খান পাপ্পু, ভিপি শামীম খান এবং রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ভিপি শামীম খান বলেন, বক্তব্যের একপর্যায়ে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা বেফাঁস একটি কথা বলেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক কমিটিকে পকেট বলে ফেলেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাকে ভুয়া ভুয়া শ্লোগান দেন। পরে নেতাকর্মীদের শান্ত করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নির্দেশে কাজিপুর উপজেলা বিএনপির ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ফলে তার এই বক্তব্যের মানে হলো ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা। এই কারণেই কনকচাঁপার বক্তব্য শুনে নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনকচ প ব এনপ স র জগঞ জ ন ত কর ম দ র ব এনপ র কম ট র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল কৃষকের
বরগুনার তালতলীতে ধানখেতে ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাদের মুন্সী (৬৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড় আমখোলা গ্রামে বোরো ধান চাষ করেন একই গ্রামের সিদ্দিক ও নাসির মিয়া। তাঁরা ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। এর পাশেই বোরো ধান চাষ করেন কৃষক কাদের মুন্সী। তিনি গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তাঁর ধানখেত দেখতে গেলে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদের পাশে তাঁকে পাওয়া যায়। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় নিহত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ক্ষত দেখা যায়। এ ঘটনার পর থেকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা কৃষক সিদ্দিক ও নাসির মিয়া পলাতক।
নিহত কাদেরের ছেলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা বিকেলে ধানখেত দেখতে যান। পরে সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করি। একপর্যায়ে প্রতিবেশী সিদ্দিক ও নাসির মিয়ার খেতে পাতা বিদ্যুতের ফাঁদে বাবার মরদেহ দেখতে পাই।’
তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আইরিন আলম বলেন, কৃষক কাদের মুন্সীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, নিহত কৃষকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।