শিগগিরই ঘরে আসছে নতুন অতিথি। তাই কিয়ারা আদভানির বাড়িতে বইছে আনন্দের বন্যা। অভিনেত্রীর এই সুসময়ে দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে অভিনেতা ও নির্মাতা ফারহান আখতারের। এর কারণ একটাই, এ নির্মাতার ‘ডন’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা ‘ডন থ্রি’ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কিয়ারা।
মাতৃত্বের কারণেই এই বলিউড অভিনেত্রীর এমন সিদ্ধান্ত। ‘ডন থ্রি’ সিনেমার সবকিছু গুছিয়ে এনেও মূল অভিনেত্রীর এভাবে সরে যাওয়ায় খানিকটা বিপাকে পড়েছেন ফারহান। এই মুহূর্তে কী করবেন, কিয়ারার পরিবর্তে কাকে নিয়ে কাজ করবেন, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে এ নির্মাতাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক সিনেমা হিট হওয়ায় বলিউডের ডাকসাইটে পরিচালক, প্রযোজকদের প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছেন কিয়ারা আদভানি। সে কারণে পরিচালক ফারহান আখতারের তাঁর ‘ডন থ্রি’ সিনেমার মুখ্য অভিনেত্রীর চরিত্রের জন্য কিয়ারাকে নির্বাচন করেছিলেন। যে চরিত্রের জন্য বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রীর অনেকে পরিচালকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, সেই চরিত্র হাতে পেয়েও অভিনয় করা হয়ে উঠছে না কিয়ারার। কারণ অন্তঃসত্ত্বার এই সময়টা অভিনেত্রী তাঁর পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে চান।
তাঁর সিদ্ধান্ত নির্মাতারা সসম্মানের সঙ্গে মেনে নিলেও দুশ্চিন্তায় আছেন, নতুন নায়িকা নির্বাচন নিয়ে। এদিকে ‘টক্সিক’ ও ‘ওয়ার টু’ সিনেমার যে ক’টি দৃশ্যের শুটিং বাকি আছে, তা শেষ করেই অভিনয়ে বিরতি নেবেন বলে জানিয়েছেন কিয়ারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক য় র আদভ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলা আইসিসিতে পাঠানোর আহ্বান টবি ক্যাডম্যানের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মামলা হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান।
বসনিয়া, কসোভো, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলায় কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই আইন বিশেষজ্ঞ বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি এই সুপারিশ তুলে ধরেন। খবর বাসসের
বৈঠকে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর ছত্রছায়ায় থাকা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহায়তা প্রয়োজন উল্লেখ করে পরিপূরক বিচারব্যবস্থার আওতায় আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকের শুরুতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) কার্যক্রমের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাইব্যুনালটি পূর্ববর্তী সরকার, বিশেষত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সংঘটিত নৃশংসতার বিচার করছে।
বৈঠকে বিভিন্ন আইনি কাঠামো, নতুন সংযোজন ও অতীতের স্বৈরাচারী শাসন থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জি৩৭ চেম্বার্সের প্রধান টবি ক্যাডম্যান আইসিটির আইনি ও বিধিবদ্ধ কাঠামো সংশোধনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করা দরকার যাতে এটি আগের স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতা মনে না করা হয়।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিষয় ও প্রমাণ গ্রহণের নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার বিষয়েও আলোচনা হয়, যাতে ন্যায়বিচার ও সুবিচারের সর্বোচ্চ মান বজায় থাকে।
ড. ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করে বলেন, তাদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'বিশ্বের জানা উচিত এক হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী, বিক্ষোভকারী ও শ্রমিকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল কে এবং মূল অপরাধীরা কারা। জাতিসংঘের তদন্ত দল শেখ হাসিনা সরকারের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'
বৈঠকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধারের পদক্ষেপ, আইসিটি ও প্রসিকিউশন টিমের সম্পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা, সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদান, অভিযুক্তদের জন্য সুবিচার নিশ্চিতে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া আগের সরকারের আমলে লুট হওয়া সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।