নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, বাংলাদেশের একটি প্রজন্মকে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস থেকে তাদেরকে বিচ্যুত করা হয়েছে। প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিরত রাখা হয়েছে।

আমরা চাই আগামী দিনে সঠিক ইতিহাস এটা কোন ব্যক্তিগত, যেটা আগে ভুল যারা করেছেন সেটা যেনো আর না হয়। আগামী দিনে যাতে ছাত্রছাত্রীরা সঠিক ইতিহাসটা জানে। সেটা পাঠ-পুস্তকের মধ্যে হোক কিংবা পরিবেশের মধ্যে হোক। দেখা গিয়েছিল এখানে যারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিল তারা সঠিক শিক্ষাটা প্রদর্শন না করে সেখানে তারা দলীয় লেজুর ভিত্তিক করতে অনেকে বেশি স্বাচ্ছন্ন বোধ করতেন। সেই বিষয়টি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। 

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভায় বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের এখানে যারা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন রয়েছেন ২০২৪ এর শহীদদের যেই আত্মত্যাগ রয়েছে তাদের যে স্বপ্ন রয়েছে নতুন রূপে বাংলাদেশকে দেখার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপনারা যেমন পরিশ্রম করছেন ঠিক একইভাবে আপনারা যারা রাজনৈতিক দলের কর্মী রয়েছি আমরা আপনাদের কাঁধে কাঁধ রেখে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে চাই।

আমাদের সকলের সাথে সকলের সহমর্মিতা ও সবার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা দেখেছি জাতীয় দিবসগুলোতে অনেক সময় ব্যক্তিগত বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। নিজের আইডেন্টিকে তুলে ধরা হয়। সুতরাং আমাদের মনে রাখতে হবে জাতীয় দিবস গুলো সবার, সবাই যাতে এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দায়িত্ব।

বিভিন্ন মতামতা দর্শের পার্থক্য থাকবে বিভিন্ন দলের মতোপার্থক্য থাকবে। এক সময় এখানে যেটা করা যায় নাই, এখন কিন্তু আমরা নতুন বাংলাদেশ রূপে দেখতে চাই এখন যদি আমরা পূর্বের জিনিসগুলো আবারও নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই এটা কিন্তু কারোই কাম্য না। 

তিনি আরও বলেন, আমরা আপনাদের তাকে বারে বারে আসি কারণ আমরা নারায়ণগঞ্জকে ভালবাসি। সবার আগে দেশ এবং দেশের জনগণ আগে। আমরা নারায়ণগঞ্জ থাকি সবার আগে নারায়ণগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের মানুষ। নারায়ণগঞ্জে যে কোন বিষয় যেমন একজন রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসাবে স্বাচ্ছন্ন বোধ করি অন্য দলের নেতাকর্মীরাও নারায়ণগঞ্জে ভালোবাসেন এবং নারায়ণগঞ্জের সুনাম যেন সবার উপরে থাকে সে প্রত্যাশা আমাদের সকলের মাঝে আছে।

একটি আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে আমরা যেন সকল ভেদাভেদ বলে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী রয়েছি এবং প্রশাসনে কর্মকর্তারা মানুষের যে প্রত্যাশাটা রয়েছে আমরা যেন সেইভাবে সফলতার সঙ্গে কাজ করতে পারি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলাম মতুর্জা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হিরাকে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার  ( গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে কামরুজ্জামান হিরা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ছত্রছায়ায় কামরুজ্জামান হিরা রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালাতো।

রূপগঞ্জের কিশোরগ্যাং চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। হিরা কিশোর ও যুবক বয়সী ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে তাদের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিতো। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পল্টনে সাবেক মন্ত্রী গাজীর ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পেটে গুলি করে হিরা।

এ ঘটনায় পল্টনের তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম হিরাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ভুলতা এলাকার ডায়মন্ড ব্রিকস টাইলস প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির সময় হিরাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ওই সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে হিরার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। তবে কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আবারো হিরা তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে।

নিরীহদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট, আবাসন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে রূপগঞ্জে সকল সেক্টরের ছিল তার অবাধ বিচরণ। সাধারণ মানুষের কাছে হীরা কাচঁকাটা হিরা ও ডন হিরা নামেও পরিচিত। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হিরা পলাতক ছিল।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার  (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ হিরাকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বালুর মাঠ থেকে বিদ্যুৎমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার
  • বন্দরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে সমাবেশ 
  • দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে দক্ষ ও আদর্শবান দায়িত্বশীল তৈরির বিকল্প নেই 
  • শ্রমিক নেতা আব্দুল মোমিন ও আব্দুল মান্নান কে ফুলেল শুভেচ্ছা
  • নারায়ণগঞ্জে ঝুটের গোডাউন ও দোকানে আগুন
  • শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
  • গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
  • ত্বকী হত্যা মামলা: আজমেরী ওসমানের গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন মঞ্জুর
  • রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার