তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

গত বছরের ৮ অক্টোবর রাজধানীর কাফরুল থানায় শামীমুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইনে এই মামলা করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.

) রাকিবুল হাসান ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে ঢাকার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঢাকায় নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডির তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচলাইশ থানার পেছনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করায় তারা আসামিকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

গত বছরের ৯ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কাফরুল থানায় এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমও।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এনআইডির তথ্য ফাঁসের মামলায় সাবেক সচিব জিয়াউল আলম দুই দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল ২ দিনের রিমান্ডে 
  • এনআইডি সেবা ইসির কাছে রাখার বিষয়ে কমিশন একমত: সিইসি
  • এনআইডি সেবা স্থানান্তরে ‘প্রতিবাদ অবস্থান’ প্রত্যাহার
  • এনআইডি সেবা স্থানান্তরের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি
  • সর্বজনীন পেনশনের গ্রাহক হবেন যেভাবে
  • এনআইডির তথ্য বিক্রির মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল গ্রেপ্তার
  • সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার
  • ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি চলছে: সিইসি