লুকোছাপা না করে বিজয় ভার্মার সঙ্গে প্রেমের কথা স্বীকার করেছিলেন দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। শুধু প্রেম নয়, বিয়ের কথাও এসেছিলে অনেক গণমাধ্যমে। তবে বিয়ে তো দূরের কথা, সপ্তাহখানেক হলো তাঁদের প্রেমের সম্পর্কটাই নাকি ভেঙে গেছে। এমন খবরে ভক্তদের মনে নানা প্রশ্ন, কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? আদৌ কি বিচ্ছেদের পথে এই পাওয়ার কাপল?

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছরের সম্পর্ক তাঁদের। নিজস্ব স্টাইলেই ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছিলেন তাঁরা। ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’-এর শুটিংয়ের সময় থেকেই তামান্না এবং বিজয় ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

বিচ্ছেদের কারণ খুঁজতে গিয়ে কেউ বলছেন, দু’জনের মধ্যে মতপার্থক্য এর জন্য দায়ী। কেউ আবার বলছেন, কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে দু’জনেই একে অপরকে সময় দিতে পারছিলেন না।

সম্প্রতি, একটি প্রতিবেদনে এমনটাও দাবি করা হচ্ছে যে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।

পিঙ্কভিলার সূত্র বলছে, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে তামান্না ভাটিয়া এবং বিজয় বর্মার ব্রেকআপ হয়। কিন্তু, এখনও তাঁরা ভালো বন্ধু। এই বন্ধুত্ব বজায়ও রাখতে চান। এই মুহূর্তে তাঁরা দু’জনেই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

তবে অন্য একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, তামান্না শিগগিরই বিয়ে করে সংসার শুরু করতে চাইলেও, বিজয় প্রস্তুত নন। ফলে দু’জনের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে।

কিছু দিন আগে শুভঙ্কর মিশ্রকে দেওয়া বিজয়ের সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়। যেখানে তিনি তামান্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছিলেন।

বিজয় বলেছিলেন, ‘আমরা দু’জনেই একমত হয়ে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলাম। লুকিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন কখনও অনুভব করিনি।’ এখন প্রশ্ন, এত কিছুর পরেও কেন এমন সিদ্ধান্ত। সূত্র: 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির ‘নামধারী সন্ত্রাসীদের’ হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বিএনপি নেতা

রাজশাহীর রাজপাড়া থানা বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন ও তাঁর পরিবার বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নগরের লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে রুহুল আমিন এ অভিযোগ করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন বলেন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির আদর্শ ছাড়া অন্য কোনো আদর্শে কখনোই জড়িত ছিলেন না। এ কারণে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৯টির বেশি মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১০ বারের বেশি কারাবরণ করেছেন। এখনো নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। দল করতে গিয়ে পারিবারিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হলেও দমে যাননি।

তিনি বলেন, এত কিছুর পরও দলের বিপথগামী কিছু সদস্য, আওয়ামী লীগের এজেন্ট ও পতিত সরকারের সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি রাতে তাঁর বাসভবনে হামলার শিকার হয়েছেন।

রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, হামলায় নেতৃত্ব দেন রাজপাড়া বিএনপির বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ তৎকালীন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন আহমেদ ও তাঁর ভাই তুহিন, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য মুরাদ পারভেজ, আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার খিচ্চু, নাইম, সবুজ ও হৃদয়সহ তাঁদের সহযোগীরা। তাঁরা তাঁর বাসভবনে ভাঙচুর করে পরিবারসহ তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন দেন। এলোপাতাড়ি গুলি করে লুটতরাজ করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার আলামত হিসেবে গুলির খোসাও উদ্ধার করেছে। কোনোমতে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর সহায়তায় বর্তমানে আতঙ্কিত ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছেন।

যুবদলের এই নেতা বলেন, মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি, মহানগরের আওতাধীন রাজপাড়া থানা কমিটিসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কমিটিগুলোতে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও সুবিধাভোগীদের সরাসরি সদস্য করা হয়েছে। এরপরও বিগত রমজানে ইফতার মাহফিল আয়োজন করে রাজপাড়া থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে একই ব্যক্তিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থাৎ অভিযুক্ত সাবেক আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে সভাপতি ও সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে কাউন্সিল ও মতামত ছাড়াই কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা প্রহসনের নামান্তর মাত্র বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এত অভিযোগ ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের আবার নতুন করে পদায়ন করা আর অপরাধীদের পুরস্কৃত করা একই কথা। এই কমিটি গঠন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে অপরাধীদের বিভিন্ন কমিটিতে পদায়ন করে পুনর্বাসন করার কারণে স্থানীয়ভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা দল থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

রুহুল আমিন বলেন, শুধু দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণেই পরিবারসহ তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছে দলে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা। তিনি এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো ফলাফল এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। প্রতিনিয়ত বিতর্কিত ব্যক্তি ও বিএনপির কথিত নেতাদের থেকে পরোক্ষভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি পাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর স্ত্রী নাদিরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘রুহুল আমিন আমার ঘনিষ্ঠ মানুষ। আমি তাঁর হেফাজতকারী। তাঁকে হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে হয়তো আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলেছেন। তাঁর যে ক্ষতি করা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি নিজেই তদন্তের দাবি করেছি।’ আওয়ামী লীগের লোকজনকে কমিটিতে রাখার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এ রকম যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কেন্দ্র তাঁদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ