দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্য, নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বাদামতলায় অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকে মূল ফটক ঘুরে আবার একাডেমিক ভবনের সামনে কর্মসূচি শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'সাঈদ, শাকিল, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

নোয়াখালীতে স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, আসামির বাড়ি ভাঙচুর

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম খান বলেন, “বর্তমান আইন ব্যবস্থা আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন। সরকার নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ। ধর্ষক, চাঁদাবাজদের দ্রুততম সময়ে বিচার না করলে, আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামব।

বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস রিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দেশে মা-বোন কেউ নিরাপদ নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান চাই। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনের বিচারহীনতা এখনো চলছে। আমরা ২৪-এর পর নিরাপত্তার যে আশা করেছিলাম, তা ভেঙে গেছে। এখনই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করে আইন বিভাগের প্রভাষক লিমন হোসাইন বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা জুলাই আন্দোলনের সময় ১১ জন নিয়ে মাঠে নেমেছিল, যা পরবর্তীতে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। আমরা ফ্যাসিস্ট শাসককে বিদায় করতে পেরেছি। এবারও আমরা ধর্ষণ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সফল হব।”

ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে ৯ দিনের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার ২ হাজার ছাড়াল

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত) সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ১৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে গতকাল বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ৯ দিনের সাঁড়াশি অভিযানে এ নিয়ে ২ হাজার ১৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সর্বশেষ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন ডাকাত, ২৪ জন পেশাদার ছিনতাইকারী, ৩ জন চাঁদাবাজ, ৩ জন চোর, ২০ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ২১ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িতরা রয়েছেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, বেশ কিছু মাদক, দুটি মুঠোফোন ও একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। এসব ঘটনায় ৬৪টি মামলা হয়েছে।

ডিএমপি আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ থানা এলাকায় ২ পালায় পুলিশের ৬৬৭টি টহল দল দায়িত্বপালন করেছে। এর মধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ৭১টি তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করা হয়েছে।

ডিএমপির দলের পাশাপাশি মহানগরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে ২ পালায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) ১৪টি, ৩ পালায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটি ইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে রাতে র‍্যাবের ১০টি টহল দল দায়িত্বপালন করে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এ ছাড়া ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি তল্লাশিচৌকি পরিচালনা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ