জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরুতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যতম সদস্য এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর জুলাই স্মৃতিকথা নিয়ে বই লিখেছেন। ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করছে প্রথমা প্রকাশন। তাঁর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বহু জানা-অজানা তথ্য বিশদভাবে পাঠকের সামনে আসবে এই বইয়ের মাধ্যমে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সূচনালগ্ন থেকেই এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একটি স্বৈরাচারী ও এককেন্দ্রিক সরকারের প্রবল নিষ্পেষণের দিনে কোটা আন্দোলনকে যাঁরা সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের দিকে নিয়ে যান, তিনি তাঁদের একজন। দ্রুত পরিবর্তিত এবং অনিশ্চিত সেই সময়ে ঝুঁকি নিয়ে তিনি তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে নানা পরিকল্পনা করেছেন, সেসব বাস্তবায়ন করেছেন এবং জনতাকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে গেছেন। ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইটিতে অনিশ্চিত, ঝুঁকিপূর্ণ ও দুঃসাহসী সেই সময়ের ভেতরের বহু অজানা কথা প্রথমবারের মতো উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার জন্ম ১৯৯৯ সালের ১৪ জুলাই, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতির সূচনা শুরু হয় তাঁর। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যতম সদস্য এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের অংশীদার।

‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩৫০ টাকা। ২৫% ছাড়ে প্রি–অর্ডার করা যাবে prothoma.

com থেকে। সরাসরি ফোন: ০১৭৩০০০০৬১৯।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাঁর বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলামকে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান।

সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্ত কমিটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করবে। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তর সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন করবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অভিযুক্তের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মামলা প্রত্যাহারে প্রক্টর চাপ প্রয়োগ করেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রক্টরিয়াল বডি থেকে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি তথ্য ছড়িয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ নারী শিক্ষার্থীকে তাঁর করা মামলা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ বা চাপ প্রয়োগ করেছেন। ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি ভুল ও অসত্য। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এটি ছড়ানো হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা, গ্রেপ্তার আসামির জামিন৭ ঘণ্টা আগে

গতকাল রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাঁকে জামিন দেন।

প্রক্টর ওই শিক্ষার্থীকে চাপ প্রয়োগ করে মামলা প্রত্যাহার করতে বলেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীকে অভিযোগ করতে দেখা যায়। তবে শাহবাগ থানা–পুলিশ জানিয়েছে, মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, করলে সেটা আদালতের বিষয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁকে (ওই ছাত্রীকে) আমি মামলা প্রত্যাহার করতে বলিনি।’ তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার০৫ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ