চবিতে রমজানবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
Published: 6th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তেপান্তর সাহিত্য সভার (তেসাস) আয়োজনে ‘রমজানের বিশেষ আলোচনা ও ইফতার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ‘উপমহাদেশে রমাদান ও ইফতার সংস্কৃতির বৈচিত্র্য’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তেসাসের সভাপতি শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রীর মৃত্যু: বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন
চবি প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩৮ ‘ভুল’
তেসাসের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ রিয়াদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওসমান মেহেদী।
প্রধান আলোচক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, “ইফতারের সময় যে আনন্দঘন মুহূর্ত, সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এ মাসে পবিত্র কোরআন নাযিল হওয়ার কারণেই রমজান এত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসে কদরের রাত সর্বশ্রেষ্ঠ। কোরআনকে আমাদের অধ্যয়ন করতে হবে। কোরআন মৃত মানুষের জন্য নয়, বরং এটি জীবন্ত মানুষের দিকনির্দেশনার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র কোরআনের আলোকের সাজালে রমজানের উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।”
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “রোযার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নৈতিক সমস্যা। আমরা যদি তাকওয়া অর্জন করতে পারি, তাহলে শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হব। একজন তাকওয়াবান মানুষ কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারবে না, দুর্নীতি করতে পারবে না।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলা আইসিসিতে পাঠানোর আহ্বান টবি ক্যাডম্যানের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মামলা হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান কৌঁসুলির বিশেষ উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান।
বসনিয়া, কসোভো, রুয়ান্ডা, ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলায় কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই আইন বিশেষজ্ঞ বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি এই সুপারিশ তুলে ধরেন। খবর বাসসের
বৈঠকে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর ছত্রছায়ায় থাকা অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহায়তা প্রয়োজন উল্লেখ করে পরিপূরক বিচারব্যবস্থার আওতায় আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকের শুরুতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) কার্যক্রমের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাইব্যুনালটি পূর্ববর্তী সরকার, বিশেষত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সংঘটিত নৃশংসতার বিচার করছে।
বৈঠকে বিভিন্ন আইনি কাঠামো, নতুন সংযোজন ও অতীতের স্বৈরাচারী শাসন থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জি৩৭ চেম্বার্সের প্রধান টবি ক্যাডম্যান আইসিটির আইনি ও বিধিবদ্ধ কাঠামো সংশোধনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করা দরকার যাতে এটি আগের স্বৈরাচারী শাসনের ধারাবাহিকতা মনে না করা হয়।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিষয় ও প্রমাণ গ্রহণের নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার বিষয়েও আলোচনা হয়, যাতে ন্যায়বিচার ও সুবিচারের সর্বোচ্চ মান বজায় থাকে।
ড. ইউনূস আইসিটি প্রসিকিউশন টিমের কাজের প্রশংসা করে বলেন, তাদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'বিশ্বের জানা উচিত এক হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী, বিক্ষোভকারী ও শ্রমিকদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল কে এবং মূল অপরাধীরা কারা। জাতিসংঘের তদন্ত দল শেখ হাসিনা সরকারের আসল চেহারা উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'
বৈঠকে সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও চুরি হওয়া সম্পদ উদ্ধারের পদক্ষেপ, আইসিটি ও প্রসিকিউশন টিমের সম্পূর্ণ সহায়তা নিশ্চিত করা, সাক্ষীদের নিরাপত্তা প্রদান, অভিযুক্তদের জন্য সুবিচার নিশ্চিতে মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া আগের সরকারের আমলে লুট হওয়া সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়।