রূপগঞ্জে ফার্নিচার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ দোকান পুড়ে ছাই
Published: 6th, March 2025 GMT
রূপগঞ্জে টিনশেডের ফার্নিচার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ দোকান ও দুইটি বসত ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার ভুলতা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান।
বৃহস্পতিবার ভোররাত সোয়া তিনটার দিকে নুরম্যানসন মার্কেটের পিছনে পারভেজের মালিকানাধীন টিনশেড ফার্নিচার মার্কেট সংলগ্ন বাচ্চু মিয়ার ভাঙারির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ফার্নিচার মার্কেটের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার ও কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে টিনশেড মার্কেটের ১৫ দোকান ও ২টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিদর্শক ওসমান গনি বলেন, ফার্নিচার মার্কেটে আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁও থেকে ৪ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে ইলেকট্রিক শর্ট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সঠিক কারণ তদন্ত করে জানানো যাবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অসীমে শূন্যের ভেতর উড়ে গেলেন কবি দাউদ হায়দার
নির্বাসিত জীবন। ফেরার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তা আর হলো না। বিদেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। অসীমে শূন্যের ভেতর উড়ে চলে গেলেন কবি দাউদ হায়দার। স্থানীয় সময় গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় জার্মানির রাজধানী বার্লিনের এক প্রবীণ নিরাময়কেন্দ্রে তাঁর মৃত্যু হয়। কবির অনুজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলার অধ্যাপক আরিফ হায়দার সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দাউদের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনায়। সত্তর দশকের শুরুতে তাঁর কাব্যপ্রতিভার উন্মেষ। ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক সংবাদে তাঁর দীর্ঘ কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি ও সংগঠনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
ঢাকার এক কলেজ শিক্ষকের মামলায় ১১ মার্চ গ্রেপ্তার হন কবি। কিছু দিন পর মুক্ত হন। ১৯৭৪ সালের ২১ মে তাঁকে উড়োজাহাজে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের সহায়তায় পরে জার্মানিতে বসবাস শুরু করেন। দেশভ্রমণে পাসপোর্টের পরিবর্তে জাতিসংঘের বিশেষ ট্র্যাভেল পাস ব্যবহার করতেন। ১৯৮৯ সাল থেকে জার্মানিতে সাংবাদিকতা করতেন। শেষ বয়সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত কবিতা রচনায় ছেদ পড়েনি। সমকালে ‘ইউরোপের চিঠি’ নামে নিয়মিত কলাম লিখতেন।
তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলা ভাষাভাষীরা শোক জানিয়েছেন। আরেক কবি ফরিদ কবির সমকালকে বলেন, ‘ভাবা যায়, কবিতার একটা পঙ্ক্তির জন্য তাঁকে মাত্র ২২ বছর বয়সে দেশছাড়া হতে হয়েছিল! বাকি প্রায় ৫১ বছর কাটাতে হয়েছে প্রবাসে নিঃসঙ্গ!’
তাঁর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’, ‘সম্পন্ন মানুষ নই’, ‘যে দেশে সবাই অন্ধ’, ‘সংস অব ডেস্পায়ার’, ‘সমস্ত স্তরে ক্ষতচিহ্ন’ উল্লেখযোগ্য।
কবির অনুজ অধ্যাপক আরিফ হায়দার জানান, রাষ্ট্রীয় প্রতিবন্ধকতার কারণে তাঁর মরদেহ এ দেশে আনা সম্ভব না। বার্লিনে সমাহিত করার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। সেটা সম্পন্ন হতে দু-একদিন লাগতে পারে।