সিদ্ধিরগঞ্জে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলি, আহত ১০
Published: 6th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই-গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে আদমজী মুনলাইট এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাং রোড সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টরম র্দুভোগে পড়ে যাত্রী সাধারণ। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সেল নামক একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও রুহুল আমিন নামক এক বিএনপি নেতার সহযোগীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন রুহুলের সহযোগীরা ইপিজেডের ভেতরে সাগরের সহযোগীদের কুপিয়ে জখম করে। এর জের ধরে পরে বিকেলে সাগর বাহিনী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মুনলাইট এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। তারা ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট চালায় সফর আলী ভুইয়া মার্কেটে। এক পর্যায়ে সাগরের সহযোগি সোহাগ নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র তাক করে গুলি করতে দেখা যায়। পরে রুহুল বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয়ে মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে স্থানীয় গণমাধ্যকর্মী তোফাজ্জল হোসেন, নুর আলম, রবিউল, আলামিন, রুহুল সহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত তোফাজ্জলকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হচ্ছিল। পরিস্থিতি সামলানো কঠিন ছিল। আমাদের ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় সামলানো গিয়েছে।
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ স ঘর ষ স ঘর ষ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র সহয গ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার্থে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে নদী ভাবনা
শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার্থে নদী তীরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে নদী ভাবনা আয়োজন করেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি এবং বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সংলগ্ন নদী তীরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কবি জামান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল খায়ের মুন্সী, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, জাকির হোসেন, মোশাররফ হোসেন।
এসময় বক্তারা বলেন, আমাদের যেমন বলা হয়ে থাকে মাছে ভাতে বাঙালি! নদীমাতৃক বাংলাদেশ মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য মাছ ও ভাত। তাই বাঙালিকে বলা হয় ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’।
তেমনি বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ; আমাদের দেশ বিশ্বে নদ-নদীর দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও, এখানে প্রতি বছরই নদ-নদীর সংখ্যা কমছে। দখল, দূষণে শুধু নদী-খালই মরছে না, এখন দেশও ধ্বংসের পথে।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে দেশের নদ-নদী রক্ষা করতে হবে। নদ-নদী বেঁচে না থাকলে, দেশও ধ্বংস হতে বাধ্য।