রূপগঞ্জে পুলিশের উপর সিএনজি চালকদের হামলা ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ সিএনজি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।

গ্রেফতাকৃতরা হলো- উপজেলার গুতিয়াবো এলাকার সিএনজি চালক আব্দুর রউফ, পিতলগঞ্জ এলাকার কাউসার, কাঞ্চন মায়াবাড়ী এলাকার ফরদৌস, আরিফ ও বাদল। 

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) পুলিশের উপর চড়াও হয়ে দুজনকে আহত করার ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার এসআই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আর ও ১৫০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

সেই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রউফ, কাউসার, ফেরদৌস, আরিফ ও বাদলকে গ্রেফতার করে।

পরে গ্রেফতারকৃতদের জজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী। 

এর আগে বুধবার (৫ মার্চ) সকালে পূর্বাচল উপশহরের কুঁড়িল বিশ্বরোড এলাকায় তিনশ' ফুট সড়কে চলাচলরত সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে গাড়ি প্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বিআরটিসি বাসের ঠিকাদারের নিয়োজিত রাকিব ও জিহাদের লোকজন। চাঁদা না দেয়ায় বেশ কয়েকজন সিএনজি চালকদের মারধেরসহ কয়েকটি সিএনজি ভাংচুর করে তারা। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে সিএনজি চালকরা একত্রিত হয়ে তিনশ' ফুট সড়কের কাঞ্চন সেতুর পশ্চিমপাড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পূর্বাচল চায়না ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে। এসময় বিক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা পুলিশের এসআই আবু ছাইম ও কনস্টেবল বাচ্চু মিয়াকে মারধর করে আহত করে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ থ ন স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের পরিকল্পনা: গভর্নর

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.আহসান এইচ মনসুর।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বিনিয়োগ সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে তিনি এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, এ বিষয়ে সপ্তাহখানেকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুরনো ধারণার অবসান ঘটেছে। এটি ব্যবসা খাতের জন্য ইতিবাচক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু বাণিজ্যের জন্য নয়, বিনিয়োগের জন্যও উপযুক্ত গন্তব্য। ৯৫ শতাংশ স্টার্টআপই ব্যর্থ হয়। তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে স্টার্টআপদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটি (বড় অঙ্কের তহবিল) শুধু নতুন উদ্যোক্তাদের মূলধন সহায়তার জন্য নির্ধারিত হবে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এই তহবিল বিতরণ করা হবে।

বিনিয়োগ সম্মেলনে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করতে কাজ চলছে। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহযোগিতার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুর বিষয় নিয়েও ভাবছে সরকার।

উল্লেখ্য, প্লেনারি সেশনে বিনিয়োগ পরিবেশ, সহায়ক অবকাঠামো ও আইনি সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল হবে নেটওয়ার্কিং ও ম্যাচমেকিং এবং বুধবার হবে ইনভেস্টমেন্ট সামিট।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ