ফের বিয়ে করেছেন ছোট ও বড়পর্দার অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামের একটি হোটেলে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। মিলনের স্ত্রীর নাম শিপা।
অভিনেতার বিয়ের বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগামে মিলন ও শিপার বিয়ে হয়েছে। আজ মিলনের দাওয়াতে তার বৌ দেখতে এসেছি। দুজনকে খুব ভালো মানিয়েছে। দোয়া করি ওরা যেনো সুখী হয়।’
এছাড়া মিলন-শিপা দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘অনেকে অনেক শুভেচ্ছা মিলন ও শিপা ভাবি। অনেক ভালো লাগলো। সুখী হও। আনন্দে ভাসো। তোমাদের জন্য ভালোবাসা।’ তবে কবে কোথায় তাদের বিয়ে হয়েছে তা উল্লেখ করেননি এই নির্মাতা।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুর রহমান মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী পলি আহমেদ।
অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লুসি গোমেজ। ১৯৯৯ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালে তাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী পলির সঙ্গে মিলনের বিয়ে ও চার বছরের সংসার জীবনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা অস্বীকার করে আসছিলেন অভিনেতা।
তবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কায় স্ত্রী-পুত্র সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেন আনিসুর রহমান মিলন। সেই ছবি থেকে জানা যায়, তার স্ত্রীর নাম পলি আহমেদ এবং সন্তানের নাম মিহ্রান। আবারও নতুন জীবনে পা দিলেন এই অভিনেতা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক-মামুনের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৬ মার্চ
অর্থ পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর রায় ঘোষণা ৬ মার্চ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার রায়ের এই দিন ধার্য করেন।
ওই মামলায় ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট; সেই সঙ্গে তাঁকে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। আর বিচারিক আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতে মামুনকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি করা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে গত বছর লিভ টু আপিল করেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আদেশ দেন আপিল বিভাগ। সেখানে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়, পাশাপাশি আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গিয়াসউদ্দিন আল মামুন আপিল করেন।
আপিলকারীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী শুনানিতে ছিলেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় অভিযোগের কোনো সত্যতা ও সারবত্তা নেই। যে কারণে হাইকোর্টের রায়টি বাতিল চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক ও মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তুলে খরচ করেন তারেক রহমান।
২০১১ সালের ৬ জুলাই এই মামলার বিচার শুরু হয়। রায় হয় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর। রায়ে তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন। দুদকের করা আপিলের সঙ্গে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন।