গবেষণা ফেলো নাজমুস গালিব তন্ময় গবেষণা  ফ্লিম ‘উইচপার অফ নেচার’ নামের সিনেমা নির্মাণ করছেন। বান্দরবানে সিনেমাটির শুটিং চলছে।এটি তার থিসিস প্রজেক্টের অংশ। থিসিসের বিষয়- ভিশন্স অব দ্য আনকনসিয়াস: এন এক্সপ্লোরেশন অব মাইস এন-সেন্স ইন ড্রিম সিকুয়েন্স (Visions of the Unconscious: An Exploration of Mise en Scène in Dream sequences)’।

নাসমুস গালিব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশুনা করেছেন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ডংসিও ইউনিভার্সিটির ফিল্ম এন্ড ভিএফএক্স বিভাগে সিনেমা নিয়ে গবেষণা কর্মে  নিয়োজিত আছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত সিনেমাবোদ্ধা ও প্রযোজক সাংহান চো-এর অধীনে গবেষণায় কর্মে নিয়োজিত আছেন সিনেমার নির্মাতা।

সিনেমাটি একজন কিশোরের জীবন ঘিরে। শহুরে ও অপ্রাকৃতিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে থৈ হারিয়ে ফেলা কিশোর প্রকৃতির ভেতর দিয়ে নতুন এক জীবনে ফিরে আসে। গল্পের সঙ্গে দর্শকের চোখের শান্তি হয়ে আসতে পারে গ্রাম ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য।  

‘হুইসপার অফ নেচার’ সিনেমাটির পরিচালনায় ও প্রযোজনায় সার্বিক সহযোগিতা করছে বাংলাদেশি প্রডাকশন হাউজ সিনেমা এক্সপেরিয়ান্স ও ফিল্মিক স্টেশনের টিম। নির্মাতা গালিব বলেন, সভ্যতার নামে দ্রুত আমরা যেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি তা আমাদের ভাবনা, কাজ ও জীবন গিলে খাচ্ছে। এই চোরাবালিতে একবার পড়লে আর বেরোতে পারছে না। অথচ আমাদের ফিরতেই হবে সহজ জীবনে। সিনেমাটি সকল শ্রেণীর দর্শকের চাহিদা পূরণ করবে এমন বিশ্বাস তার। 

প্রডাকশন হাউজ সিনেমা এক্সপেরিয়ান্স ও ফিল্মিক স্টেশনের প্রধান সেজান মাহমুদ তমাল বলেন, গল্পের চিত্রনাট্যে সচারাচর চলিত গল্প থেকে বেরোনের চেষ্টায় আছি। তরুণ নির্মাতা গালিবকে সহয়তা করতে পেরে ভালো লাগছে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আয়ান খান, নাজিম মাহমুদ, প্রণয় প্রান্ত, শাহীন সরকার  প্রমূখ। সিনেমাটোগ্রাফি করছেন নাজিম মাহমুদ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পারভেজের সেঞ্চুরি ও লিটন ফ্লপ, আবাহনীর জয়

জয়ে ফিরেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল দল আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ, ২০২৫) আবাহনী হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে। তাদের জয়ের নায়ক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১২৬ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন। তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে আবাহনী ৬ উইকেটে ৩২৩ রান করে। জবাব দিতে নেমে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব রাকিবুল হাসানের স্পিনে পরাস্ত হয়ে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায়। ১৬২ রানের বিশাল জয় পায় লিগের বর্তমান শিরোপাধারীরা।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে আবাহনীতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন পারভেজ ও জিসান। ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। জিসান ৩৪ রানে ফেরার পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২১ বলে ৯ রানে আজিজুল হাকিম তামিমের বলে বোল্ড হন। সেখান থেকে মোহাম্মদ মিঠুন ও পারভেজ জুটি বেঁধে দলের রান নিয়ে যান চূঁড়ায়।

আরো পড়ুন:

৩২ বলে ৭৮ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আলাউদ্দিন জেতালেন পারটেক্সকে

মুশফিকময় দিনে অঙ্কনের ফিফটি, হৃদয়ের ঝড়

১৭১ রানের জুটি গড়ার পথে দুজন পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। পারভেজ সেঞ্চুরি তুলে নিতে পারলেও মিঠুন আটকে যান ৭২ রানে। ৬৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় মিঠুন ইনিংসটি খেলেন। পারভেজ ১২৪ বলে করেন ১২৬ রান। ৯ চার ও ৮ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি।

আবাহনীর ইনিংসের শেষটা দারুণ করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মাহফুজুর রাব্বী। মোসাদ্দেক ২৮ বলে ৩৫ রান করেন ৩ চারে। মাহফুজুর ১৪ বলে ২৮ রান করেন ৩ চার ও ২ ছক্কায়। বল হাতে গুলশানের হয়ে ৬৫ রানে ৩ উইকেট নেন আসাদুজ্জামান পায়েল। ২ উইকেট পেয়েছেন আজিজুল হাকিম তামিম।

জবাব দিতে নেমে গুলশানের ভরসা ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু রান পাননি ডানহাতি ওপেনার। ২১ বলে ১ ছক্কায় ১৪ রান করে বিদায় নেন। স্পিনার রাকিবুলের বলে রাব্বীর হাতে ক্যাচ দেন। আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ১৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান করে রাখেন অবদান। তিনে নেমে খালিদ হাসান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন। বাকিরা এই ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। তাতে বড় পরাজয়কে সঙ্গী করে গুলশান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া ইফতিখার হোসেন ইফতি এই ম্যাচে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে নিহাদুজ্জামানের ৩৫ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় গুলশান।

স্পিনার রাকিবুল ৪০ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন। ৩ উইকেট নেন পেসার মৃত্যুঞ্জয়।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ