যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর্যুপরি হুমকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে উৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বার্তায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া বলেন, ‘বাদবাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো যুদ্ধবিরতিকে দ্বিতীয় ধাপে নিয়ে যাওয়া। মধ্যস্থতাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলতে (সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে) বাধ্য করা।’

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মুক্তি পাওয়া কিছু ব্যক্তির সঙ্গে গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে দেখা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর হামাসকে ‘শেষ বার্তা’ এবং ‘নরকের পরিণতি’ ভোগের হুমকি দিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘পরে নয়, সব জিম্মিকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। মরদেহগুলোও ফেরত দিতে হবে। দর-কষাকষির সময় শেষ।’

হামাস নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘(হামাস) নেতৃত্বকে বলছি, এখন গাজা ছেড়ে যাওয়ার সময়। এখনো তোমাদের জন্য সুযোগ রয়েছে।’

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ইসরায়েলের তেল আবিবে, ৬ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের হেফাজতে সেই ভাইরাল ‘চলমান খাট’

সামাজিক মাধ্যমে ক’দিন ধরে একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এক ব্যক্তি বিছানার মাঝখানে বসে আছেন। তোশক, চাদর, বালিশসহ পুরো খাটটাই চলছে। যেন একটি গাড়ি। আসলে এটি একটি চলমান বিছানা কিংবা চলমান খাটগাড়ি। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখ প্রায় দেড় বছরে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করে খাটগাড়িটি বানিয়েছেন। বিবিসি।

ঈদের দিন একটু ‘ট্রায়াল’ দিতে বেরিয়েছিলেন নিজের বিচিত্র এই গাড়িটি নিয়ে। মুহূর্তেই তা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ওই চলমান বিছানা দেখতে ব্যাপক ভিড়ও হচ্ছিল। নবাব শেখের এখন মন খারাপ। কারণ, তাঁর সাধের গাড়িটি মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার পুলিশ নিয়ে গেছে। ভাইরাল হওয়ার স্বপ্ন তো ছিলই, এর সঙ্গে ছিল বিছানায় বসে বসে চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়ার স্বপ্নও। তবে মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনো গাড়িকে বদলে চালানোর অনুমতি নেই।

নবাব বলেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যেই একদিন স্বপ্ন দেখি যে খাটে চেপেই যদি আমি চা খেতে যেতে পারতাম! সেই ভাবনা থেকেই শুরু।’ এর পরে তিনি খাটটিতে চারটি চাকা ও ইঞ্জিন লাগিয়ে চলন্ত খাট বানান। ঈদের দিন একটু ট্রায়াল দিতে বেরিয়েছিলাম। আমার কয়েকজন বন্ধু সেটার দুটো ভিডিও করে। সেটা আমি ফেসবুক পেজে দিলেই ভাইরাল হয়ে যায়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ