রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা সদরের বেতছড়ি এলাকা থেকে অবৈধ ভারতীয় সিগারেটসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বেতছড়ির একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা সিগারেটের বাজারমূল্য ৩২ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কাউখালী উপজেলা কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো.

ইসমাইল (৩৮), উপজেলা তাঁতী দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. রিপন (৩৫), উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ (৪০) ও বাড়ির মালিক মো. শামসুদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা উপজেলা সদরের বেতছড়ির মো. শামসুদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালান। তাঁর বাড়ি থেকে ৩১ কার্টুন ভারতীয় অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায়। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজন বিএনপির রাজানীতিতে যুক্ত। তবে অবৈধ সিগারেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাউখালী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় সিগারেট জব্দের ঘটনায় কাউখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘অর্ধেক দামে বিক্রি করব ওমানের মুদ্রা’, প্রতারণার নতুন ফাঁদ

‘আমার কাছে কিছু ওমানি মুদ্রা আছে, অর্ধেক দামে বিক্রি করব’, এভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। বিদেশি মুদ্রা দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মামলায় চট্টগ্রাম নগরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জয়নাল আবেদীন, জাহান হোসেন, এয়ার হোসেন ও মিজানুর রহমান। গতকাল সোমবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে দোকানের এক বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নেওয়া ২৯ হাজার টাকা ও ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নগরের সানমার ওশান সিটির একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী মেজবাউল আলম দোকানের ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জমা করার জন্য দোকান থেকে জিইসি মোড় ব্যাংক এশিয়ার শাখায় যাচ্ছিলেন। জিইসি এলিট পেইন্টের সামনে এলে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তাঁকে বলেন, তাঁর কাছে বিদেশি মুদ্রা আছে, ওমানের। তখন দোকানের বিক্রয়কর্মী নগরের আগ্রাবাদে গিয়ে বিক্রির জন্য বলেন। ইতিমধ্যে সেখানে জড়ো হন অটোরিকশাচালকের কয়েকজন সহযোগী। তাঁরা যাত্রী সেজে দ্রুত চালককে নিয়ে যেতে চান।

তখন চালক বলেন, অর্ধেক দামে হলেও মুদ্রাগুলো বিক্রি করে দেব। তখন যাত্রীবেশে থাকা চালকের সহযোগীরা তাতে সায় দেন। একপর্যায়ে ওমানের ১৮১টি মুদ্রা (পয়সা) ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকায় কেনেন। পরে জানতে পারেন, ওমানি এক বাইসা (পয়সা)–এর বিপরীতে বাংলাদেশি ১৫ টাকা। প্রতারণার বিষয়টি জানার পর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন বিক্রয়কর্মী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর লাঠিচার্জ ন্যক্কারজনক’
  • ‘অর্ধেক দামে বিক্রি করব ওমানের মুদ্রা’, প্রতারণার নতুন ফাঁদ