চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল আলম ওরফে জসিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জসিমকে। পরে তাঁকে চট্টগ্রামে আনা হয়। হাজির করা হয় আদালতে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন জহুরুল আলম। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর খোঁজে অভিযান চালায় পুলিশ নগরের এ কে খান মোড়ে একটি বাসায়। পরে তাঁর স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার একটি মামলায় পরদিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।

উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিমকে গত ২২ জানুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে বেলার একটি প্রতিনিধিদল ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি আকবর শাহ থানা এলাকায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে কাউন্সিলর জহুরুল ও তাঁর সহযোগীদের মারমুখী আচরণের শিকার হন। এ ঘটনায় রিজওয়ানা হাসান আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আকবর শাহ থানা-পুলিশ একই বছরের ১২ জুন ছয়জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এতে অভিযোগপত্রে কাউন্সিলর জহুরুলকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যবসায়ী খুনের মামলায় অস্ত্রসহ দুই যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। দুজনই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়ার একটি বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশে তৈরি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেপ্তার আরাফাত মামুন বিএনপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী যুবদলের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচয় দেন। গোলাম আকবর খোন্দকারের ছবি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়কে তোরণ নির্মাণ ও পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণাও চালিয়ে আসছেন তিনি। তবে যুবদলে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই বলে সংগঠন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিপ্লব বড়ুয়াও যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি আরাফাত মামুনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দলের প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি-হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে। এর আগে তাঁকে ধরতে যৌথ বাহিনী একাধিকবার অভিযানও পরিচালনা করেছে।

গত ২৪ জানুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় মামুন ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আরাফাত মামুন বাড়িতে অবস্থান করছেন—গোপনে এই খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এক সহযোগীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুজনকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যবসায়ী খুনের মামলায় অস্ত্রসহ দুই যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার
  • গুলিস্তান, মিরপুর ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে ক্যাভাসারদের কাছে অ্যালবাম দিয়েছেন আসিফ
  • ‘শয়তানের খপ্পর থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে’