সমালোচকদের সতর্ক করে বাবরের বাবা, ‘মুখ খুললে সহ্য করতে পারবেন না’
Published: 6th, March 2025 GMT
এই মুহূর্তে বাবর আজমের পাশে কে আছেন? কথা যেহেতু পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে হচ্ছে, খারাপ সময়ে খুব বেশি মানুষকে বাবর পাশে পাবেন না। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা যে অন্যের সমালোচনার জন্য ‘বিখ্যাত’! এই সময়ে তাঁর পাশে থাকার জন্য নয় তাঁদের।
খারাপ সময়ে বাবর পাশে পেয়েছেন শুধু তাঁর বাবাকেই। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ার পর বাবরের বাবা আজম সিদ্দিকই আবার বাবরের হয়ে ব্যাট ধরলেন। বাবরের সমালোচনা করা সাবেক ক্রিকেটারদের সতর্ক করেও দিয়েছেন তিনি।
বাবর টি-টোয়েন্টি দল থেকে কেন বাদ পড়েছেন? এই বাবর গত বছরের আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও ছিলেন। ২৪ ম্যাচে রান করেছিলেন ৭৩৮, সেটিও ১৩৩.
দল থেকে বাদ পড়েছেন, সঙ্গে নিয়মিত সাবেকদের কড়া কথার মুখে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাবর ব্যর্থ হয়েছেন, এটা ঠিক। তবে ব্যর্থতা তাঁর একার ছিল না। এই দলে থাকা বেশির ভাগ ক্রিকেটারই তো পারফর্ম করতে পারেননি। সে কারণেই তো দল হিসেবে জয়হীন থেকে সবার আগে বাদ পড়েছে দলটি। তবে সব সমালোচনা যে শুনতে হয় বাবরকেই, যা অনেক সময় ছাড়িয়ে যায় ভদ্রতার সীমাও।
সে কারণেই বাবরের বাবা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সব সম্মানিত ও কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে অনুরোধ করছি, কথা বলার সময় সতর্ক থাকুন। যদি কেউ জবাব দেয়, তাহলে হয়তো সহ্য করতে পারবেন না। আপনারা অতীত, আর এই দরজা কখনো খুলবে না।’
টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা দলে থাকার পরও বাদ পড়া নিয়ে কথা বলেছেন বাবরের বাবা, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি দলের বছরের সেরা দলে থাকা এবং ক্যাপ পাওয়া সত্ত্বেও দল থেকে বাবর বাদ পড়েছে। এটি ব্যাপার নয়। সে জাতীয় টি-টোয়েন্টি ও পিএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করবে এবং শিগগিরই দলে ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুনপারভেজের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর জয়, জিতেছে মোহামেডানও১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সমর্থকদের বাবরের রেকর্ডের দিকে চোখ বোলানোর অনুরোধ করেছেন তিনি, ‘যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন, আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, সারা দিন অনেক কথা বলে যারা সমস্যা তৈরি করে, তাদের কথা শোনার আগে একবার পিসিবির ওয়েবসাইটে তার পারফরম্যান্স দেখে নিন। বাকিদের জন্য এটুকুই যথেষ্ট। পাকিস্তান চিরজীবী হোক।’
বাবরের বাবা বাবরের বিষয়ে অনেক কথা বলেন, এমন একটা কথা পাকিস্তান ক্রিকেটে শোনা যায়। এই অভিযোগেরও কড়া জবাব দিয়েছেন বাবরের বাবা, ‘কেউ কেউ বলে, বাবরের বাবা অনেক কথা বলে। আমি তার (বাবরের) প্রথম ও শেষ কোচ, মুখপাত্র, পরামর্শক এবং সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী।’
আরও পড়ুনআইপিএলে ড্রেসিংরুমে নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের বউ–বান্ধবী০৪ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব বর র ব ব দল থ ক সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।
এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স— ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।
আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগেভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।
ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।
তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল