ঢাবিতে নির্মাণ হবে নতুন ১০টি আবাসিক হল
Published: 6th, March 2025 GMT
২ হাজার ৮৪১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ছাত্রীদের জন্য চারটি ও ছাত্রদের জন্য পাঁচটি হলসহ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৩ হাজার ছাত্রী এবং ৫ হাজার ১০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা হবে।
এছাড়া চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ছাত্রীদের জন্য একটি হল নির্মাণ করা হবে। সেখানে ১ হাজার ৫০০ ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মি.
একইসঙ্গে ১৫১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহের সংস্কার, সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় অতি পুরাতন জরাজীর্ণ ১৬৮টি ভবনের সংস্কার করা হবে।
আরো পড়ুন:
১০ রমজানের মধ্যে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শেষ করার দাবি
নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে যা ভাবছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠককালে এসব প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন উপাচার্য। এ সময় উপদেষ্টা এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
এছাড়া উপাচার্য এসব প্রকল্পের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সচিবের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনসহ তিনটি মেগা প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে কেএফসি ও পিৎজা হাটসহ ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল থেকে পর্যটন জোনের অন্তত পাঁচটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শহরের পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণের শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এসময় রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল বলেন, “ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগে কেএফসি, পিৎজা হাট, কাঁচা লংকা, পানসি ও মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়।” কাঁচের আঘাতে কয়েকজন পর্যটক আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
বর পক্ষকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, থানায় মামলা
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৭
তিনি আরো বলেন, “আমরাও ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছি। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি এই (রেস্টুরেন্টে হামলা) ঘটনা ঘটিয়েছে, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য অশনি সংকেত। ইসরায়েলি পণ্যের সাইনবোর্ড সরিয়ে নিতে বললে তা করা যেত। ভাঙচুর এবং পর্যটক আহত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সুগন্ধা এলাকার টপ ফ্লোরে থাকা কেএফসি এবং নিচে অবস্থিত পিৎজা হাটে ভাঙচুরের চিহ্ন স্পষ্ট। কেএফসি লক্ষ্য করে ছোড়া ইট-পাটকেল নিচের পিৎজা হাটে গিয়ে পড়ে, এতে কাঁচ ও যন্ত্রপাতির ক্ষতি হয়। ঘটনার পর পিৎজা হাট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তবে কেএফসি খোলা রয়েছে।
পিৎজা হাট কক্সবাজার শাখার ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, “প্রধানত কেএফসির প্রতি ক্ষোভ থেকেই হামলা শুরু হয়। কেএফসি ওপরের ফ্লোরে থাকায় নিক্ষিপ্ত বস্তু নিচে পিৎজা হাটে গিয়ে পড়ে। এতে আমাদের ক্ষতি হয়েছে।”
কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ জানান, তাদের সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল বলে ভাঙচুর চালানো হয়। তিনি বলেন, “আমরাও ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি। কেউ বললে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম।”
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, “মিছিলের সামনে এবং পেছনে পুলিশ থাকলেও দীর্ঘ মিছিলে মাঝখান থেকে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি পেপসির সাইনবোর্ড খুলে ফেলে এবং ইট ছোড়ে। মিছিলে থাকা অভিজ্ঞদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।”
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ