ইউট্যাব রাবি শাখার সভাপতি মামুনুর, সম্পাদক জাহাঙ্গীর
Published: 6th, March 2025 GMT
ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (বাবু)।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংগঠনটির পৃষ্টপোষক তারেক রহমানের সম্মতিক্রমে এ কমিটির অনুমোদন দেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.
কমিটিতে আছেন- সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালেদউজ্জামান (মিজান), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জিএম শফিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সোবাহান (হীরা), অধ্যাপক ড. মো. গোলাম আরিফ, অধ্যাপক মো. আলতাফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. কুদরত-ই-জাহান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসান (মুকুল)।
অন্যদের মাঝে আরো আছেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ সরওয়ার জাহান (লিটন), সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, অধ্যাপক ড. এএইচএম খুরশীদ আলম (রিপন), প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন, সহ-প্রচার সম্পাদক, অধ্যাপক ড. মো. নূরুজ্জামান হক।
সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছাদিক, অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক, অধ্যাপক ড. ফারজানা আশরাফী নীলা, অধ্যাপক ড. আওরঙ্গজীব আব্দুর রাহমান, অধ্যাপক ড. মো. হাসনাত কবীর, অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ মশিহুর রহমান (দুলাল)।
সদস্যদের মাঝে আরো আছেন, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, অধ্যাপক ড. আখতার বানু (আলপনা), অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশীদ, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. মজিবর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুল হক, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জোয়াদ্দার, অধ্যাপক ড. মোরশেদুল ইসলাম (পিটার), অধ্যাপক ড. মোছা. মর্জিনা বেগম, অধ্যাপক ড. এ. নাঈম ফারুকী (লুথার), অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আবেদীন ও স্বপ্নীল রহমান।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত পথরেখা ঘোষণা করা হোক
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতদ্বৈধতা সত্ত্বেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন। এত দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকলেও গত ঈদের ছুটিতে ছোট–বড় ও পুরোনো–নতুন দলের নেতারা প্রকাশ্যে এসেছেন। অনেকে দলের নামে দোয়া চেয়ে পোস্টারও ছেড়েছেন। যদিও এটি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগস্ট অভ্যুত্থানে নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা ৩৯টি আসনে জনসংযোগ করেছেন ঈদের ছুটিতে। এসব গণসংযোগ হয়েছে নানা উপলক্ষে। কোথাও আগস্ট অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের সহায়তা করতে, কোথাও প্রীতি ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা উপলক্ষে।
এ কথার অর্থ এই নয় যে অন্য দলগুলোর নেতারা চুপচাপ বসে ছিলেন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি, বামপন্থী দলের নেতারা ঈদের ছুটিতে জনসংযোগ করেছেন। জনসংযোগের ক্ষেত্রে বিএনপির সমস্যা হলো, প্রায় সব আসনে তাদের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন। এ নিয়ে ভবিষ্যতে যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কোথাও কোথাও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে, তার আলামত ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্যে যে বিভিন্ন স্থানে হানাহানি চলছে, তার পেছনেও আছে নির্বাচনী হিসাব–নিকাশ।
রাজনৈতিক নেতাদের এই জনসংযোগ দেখে এ ধারণা করা অমূলক হবে না যে ভেতরে–ভেতরে তাঁরা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এখনো অনেক দল বাকি আছে। যেকোনো সিদ্ধান্তে আসতে হলে সব দলের সঙ্গে আলোচনার পর্বটি দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা যখন চলমান, তখন রাজনৈতিক মহলে দুটি বিপজ্জনক প্রচার লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রথমটি হলো সংস্কারের কী প্রয়োজন, দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। দ্বিতীয় প্রচার হলো আপাতত নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, যত দিন দরকার এই সরকার থাকুক।
স্বাভাবিকভাবেই সংস্কার ও নির্বাচন দুটি বিষয় নিয়েই জনমনে একধরনের সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আগে কারও সঙ্গে দেখা হলে প্রথম প্রশ্ন আসত, নির্বাচনটি কবে হবে। এখন অনেকেই প্রশ্ন করেন, নির্বাচন হবে তো?
রাজনীতিকদের অনেকেই সংস্কারকে নির্বাচনের এবং নির্বাচনকে সংস্কারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চাইছেন। কিন্তু বাস্তবে তো একটি আরেকটির প্রতিপক্ষ নয়; বরং পরিপূরক। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যেমন সংস্কারের অংশ, তেমনি স্বৈরতন্ত্রের পুনরাগমন ঠেকাতে সংস্কার জরুরি। কতটা সংস্কার নির্বাচনের আগে হবে, কতটা পরে হবে, এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সংস্কার অপরিহার্য।
আমরা মনে করি, সংস্কার ও নির্বাচন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ন্যূনতম ঐকমত্যে আসতে হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সব দলের সঙ্গে কথা না বললেও তাদের মতামত পেয়েছে; এর ভিত্তিতে তারা কোনো উপসংহার টানতে পারে। তবে উত্তম পন্থা হলো সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এ ক্ষেত্রে খুব বেশি বিলম্ব কাম্য নয়, তাতে সংশয়–সন্দেহ আরও বাড়বে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে সরকার সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে দ্রুত একটা পথরেখা ঘোষণা করবে, এটাই প্রত্যাশিত।