নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ট্রাক ঢুকে গেল দুই দোকানে, এরপর যা হলো
Published: 6th, March 2025 GMT
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভায় একটি মালবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি দোকানে ঢুকে পড়েছে। এতে দোকান দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন দোকানিরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভাঙ্গা বাজারের প্রধান সড়কের পান বাজার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাঙ্গা বাজার প্রধান সড়কের পাশেই ‘শ্রী দুর্গা ভান্ডার’ নামে একটি মুদি ও ‘সুফিয়ান শু স্টোর’ নামের একটি জুতার দোকান অবস্থিত। আজ সকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালভর্তি একটি ট্রাক এই দুই দোকানে ঢুকে পড়ে।
শ্রী দুর্গা ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা (৪৫) জানান, এ দুর্ঘটনায় দোকানটির সামনের অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত আড়াই লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় দোকানের ক্যাশে বসে ছিলেন তাঁর ভাই সুভাষ সাহা (৩৬)। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন তিনি।
অন্যদিকে সুফিয়ান শু স্টোরের মালিক মিজানুর রহমান জানান, তাঁর দোকানের ডেকোরেশনের আসবাব ও ফ্যান নষ্ট হয়েছে। জুতা, স্যান্ডেলসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে।
ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সময় ট্রাকটি চালকের সহকারী চালাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনার পর চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন বলে জানান ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও বাটা শো-রুমে ভাঙচুর
খুলনা নগরীতে কেএফসি নামের একটি রেস্টুরেন্ট এবং বাটার শো-রুম ব্যাপক ভাঙচুর করেছে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনকারীরা। সোমবার সন্ধ্যায় ভাঙচুর ও মালপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বিকেলে সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ফেরিঘাট মোড়ের দিকে মিছিল বের হয় এবং মিছিলটি ফেরিঘাট মোড় ঘুরে আবার শিববাড়ি মোড়ে যায়।
তবে মিছিলের একাংশ নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যায়। এরপর সন্ধ্যায় তারা কেএফসিতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এছাড়া বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বাইরে ফেলে দেয়। ভাঙচুরকারীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। ভাঙচুরের সময় কেএফসির পাশের ভবনে অবস্থিত বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কেএফসিতে গিয়ে দেখা যায়, তাদের চেয়ার-টেবিল, ডেস্ক, ক্যাশ কাউন্টার, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু একেবারে ধংসস্তুূপে পরিণত হয়েছে। কেএফসির সামনের সড়কেও কিছু আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তবে কেএফসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এরপর কিছু লোক নগরীর শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে হোটেল টাইগার গার্ডেন ভবনের নিচতলায় বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালায়।
নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, কেএফসি ও বাটা শো-রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।