১০ রমজানের মধ্যে ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শেষ করার দাবি
Published: 6th, March 2025 GMT
আগামী ১০ রমজানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অফলাইন তথা সশরীরে ক্লাস শেষ করার দাবিতে উপাচার্য কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার নেতাকর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ন্যায্যমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের সুব্যবস্থা নেই। রমজানের সময় এ সংকট আরো প্রকট হয়। হলগুলোর ক্যান্টিন এবং মেসের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে রোজা রাখা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।
আরো পড়ুন:
নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে যা ভাবছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের বিচারসহ ১১ দাবি ঢাবি সাদা দলের
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ি ২৩ রমজান অর্থাৎ আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা-অ্যাসাইনমেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। হলের খাবারের দাম ও মান বিবেচনায় রমজানে এতদিন হলে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খাবারের অপ্রাপ্যতার কারণে অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান আবহাওয়া বিবেচনায় মূল ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য রোজা রেখে ক্লাসে আসাটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১০ রমজানের মধ্যে অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে বিভাগগুলো অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে পারে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অসীমে শূন্যের ভেতর উড়ে গেলেন কবি দাউদ হায়দার
নির্বাসিত জীবন। ফেরার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তা আর হলো না। বিদেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। অসীমে শূন্যের ভেতর উড়ে চলে গেলেন কবি দাউদ হায়দার। স্থানীয় সময় গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় জার্মানির রাজধানী বার্লিনের এক প্রবীণ নিরাময়কেন্দ্রে তাঁর মৃত্যু হয়। কবির অনুজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলার অধ্যাপক আরিফ হায়দার সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দাউদের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনায়। সত্তর দশকের শুরুতে তাঁর কাব্যপ্রতিভার উন্মেষ। ১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক সংবাদে তাঁর দীর্ঘ কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ধর্মীয় গোঁড়া ব্যক্তি ও সংগঠনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
ঢাকার এক কলেজ শিক্ষকের মামলায় ১১ মার্চ গ্রেপ্তার হন কবি। কিছু দিন পর মুক্ত হন। ১৯৭৪ সালের ২১ মে তাঁকে উড়োজাহাজে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের সহায়তায় পরে জার্মানিতে বসবাস শুরু করেন। দেশভ্রমণে পাসপোর্টের পরিবর্তে জাতিসংঘের বিশেষ ট্র্যাভেল পাস ব্যবহার করতেন। ১৯৮৯ সাল থেকে জার্মানিতে সাংবাদিকতা করতেন। শেষ বয়সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত কবিতা রচনায় ছেদ পড়েনি। সমকালে ‘ইউরোপের চিঠি’ নামে নিয়মিত কলাম লিখতেন।
তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলা ভাষাভাষীরা শোক জানিয়েছেন। আরেক কবি ফরিদ কবির সমকালকে বলেন, ‘ভাবা যায়, কবিতার একটা পঙ্ক্তির জন্য তাঁকে মাত্র ২২ বছর বয়সে দেশছাড়া হতে হয়েছিল! বাকি প্রায় ৫১ বছর কাটাতে হয়েছে প্রবাসে নিঃসঙ্গ!’
তাঁর প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’, ‘সম্পন্ন মানুষ নই’, ‘যে দেশে সবাই অন্ধ’, ‘সংস অব ডেস্পায়ার’, ‘সমস্ত স্তরে ক্ষতচিহ্ন’ উল্লেখযোগ্য।
কবির অনুজ অধ্যাপক আরিফ হায়দার জানান, রাষ্ট্রীয় প্রতিবন্ধকতার কারণে তাঁর মরদেহ এ দেশে আনা সম্ভব না। বার্লিনে সমাহিত করার আইনি প্রক্রিয়া চলছে। সেটা সম্পন্ন হতে দু-একদিন লাগতে পারে।