খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১১ মাসে সর্বনিম্ন
Published: 6th, March 2025 GMT
গত দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি আরও অসহনীয়। ধানের মওসুম এবং শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব হলেও খাদ্যেপণ্যের মূল্যস্ফীতি দুই অংকের নীচে নামেনি।
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি টানা তিন মাস মূল্যস্ফীতি কমে কমে আসার মধ্যেও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। অবশেষে ফেব্রুয়ারি মাসে এসে এ হার এক অংকে নেমে এল। মাসটিতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ১১ মাস পর এ হার এখন দুই অংকে নিচে।
সর্বশেষ গত বছেরর মার্চে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। সে ধারা এত দিন অব্যাহত ছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: খ দ যপণ য
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ ভুয়া কলই বেশি
ঈদুল ফিতরের ৯ দিনের ছুটিতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে কল আসে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৩টি। এর মধ্যে ভুয়া কল ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৪১৬। সেবা নেওয়ার মানসিকতা থেকে কল আসে ৪৬ শতাংশ। বাকি ৫৬ শতাংশই ভুয়া। সে জন্য ভোগান্তি হয়েছে পুলিশের। যেসব কল আসে, তার মধ্যে বেশি ছিল মারামারি-সংঘর্ষের ঘটনার। এ ছাড়া মাইকে উচ্চ শব্দে গানবাজনা, হামলা, দুর্ঘটনা ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় সহায়তা চেয়েও কল আসে।
জাতীয় জরুরি সেবার পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার গতকাল বুধবার এ বিষয়ে বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি সেবা সরবরাহ করা হয়েছে। ঈদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকলেও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কোনো ছুটি থাকে না। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা এই সেবা খোলা থাকে। এবার বিভিন্ন সহায়তার জন্য কল আসে ২ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৩টি। তিনি বলেন, প্রতি মুহূর্তে ১০০টি কল রিসিভ করার সক্ষমতা রয়েছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স-সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী অন্য জরুরি সেবাও দেওয়া হয়েছে। এবার ঈদে জরুরি সেবা প্রদানযোগ্য ফোনকল ৪৬ শতাংশ এবং সেবা প্রদানযোগ্য নয়– এমন কল ছিল ৫৬ শতাংশ। আগের তুলনায় মানুষ এখন ৯৯৯ থেকে জরুরি সেবা বেশি নিচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
৯ দিনে যেসব অভিযোগে কল
ঈদের ছুটিতে ১০টি সমস্যার তথ্য জানিয়ে ৯৯৯-এ আসা কলের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মারামারি-সংক্রান্ত কল আসে ৩ হাজার ৭৬৮টি, এর পর শব্দদূষণের প্রতিকার চেয়ে ১ হাজার ২৩৩টি, অগ্নিকাণ্ডের ১ হাজার ২২২টি, জরুরি চিকিৎসাসেবার ৯৪৪টি, অবরুদ্ধ বা আটকে রাখার ঘটনায় ৯০৩টি, সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ৭৭৮টি, নারী নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ৭৩৭টি, দুর্ঘটনায় ৫৭১টি, চুরি-সংক্রান্ত ৫৩৩টি এবং জমিজমা নিয়ে ৫০০টি।
৯ দিনে যত কল
২৮ মার্চ কলের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮টি, ২৯ মার্চ ২৭ হাজার ৮০৮টি, ৩০ মার্চ ২৫ হাজার ৭৫৫টি, ৩১ মার্চ ২৩ হাজার ৪৯৮টি, ১ এপ্রিল ২৫ হাজার ৬৫২টি, ২ এপ্রিল ২৬ হাজার ৮১টি, ৩ এপ্রিল ২৮ হাজার ৪৬০টি, ৪ এপ্রিল ২৭ হাজার ৩৮০টি এবং ছুটির সর্বশেষ দিন ৫ এপ্রিল কলের সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৯৯১টি।