শের-ই-বাংলায় সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। রাতে ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণার পর শুরু। ম্যাচের আগে গার্ড অব অনার আর শেষ কেক কেটে উদযাপন। সবমিলিয়ে মুশফিকময় দিনে হার দিয়ে শুরুর পর বড় জয়ের দেখা পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

মিরপুরে ঢাকা লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় মুখোমুখি হয় মোহামেডান-রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ২২২ রান করে রূপগঞ্জ। তাড়া করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন-তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ৩৭.

৫ ওভারে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান।

অঙ্কন ৯৭ বলে ৮১ ও হৃদয় ৪৭ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এক পাশে আগলে রেখে খেলা অঙ্কনের হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৫টি চার ও দুটি ছয়ে অঙ্কন সাজান ইনিংসটি।

আরো পড়ুন:

প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ‘ফেল’ সাব্বির

শরিফুলের ভয়ংকর রূপ
১০ ওভারে ৫০ ডট বল, ১৪ রানে নিলেন ৪ উইকেট

একপ্রান্তে অঙ্কন যখন ধরে খেলছেন অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন হৃদয়। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ঝড়ো ইনিংসটি সাজান হৃদয়। অধিনায়ক তামিম ফেরেন ১৭ বলে ১৪ রান করে। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।

রূপগঞ্জের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ফাহাদ হোসেন, এনামুল হক ও মাহমুদুল হাসান।

এর আগে রূপগঞ্জের ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়তে পারেনি। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র। এ ছাড়া তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।

মোহামেডানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ