ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, পাকিস্তান যদি তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর (পিওকে) খালি করে দেয়, তবে কাশ্মীর ইস্যু পুরোপুরি সমাধান হয়ে যাবে। যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে বুধবার ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা চ্যাথাম হাউসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

কাশ্মীর ইস্যুতে একজন দর্শকের প্রশ্নের জবাবে এ বক্তব্য দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রশ্নটি ছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর ইস্যু ‘সমাধান’ করতে পারেন?

জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, এ ইস্যুতে আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। প্রথম ধাপে আমরা (সংবিধানের) ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করেছি। এরপর কাশ্মীরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তৃতীয় ধাপে আমরা সেখানে বিধানসভা নির্বাচন দিয়েছি এবং সেই নির্বাচনে প্রচুর ভোটার ভোট দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি কাশ্মীরের চুরি হওয়া অংশটি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে যা পাকিস্তানের অবৈধ দখলে রয়েছে। যখন তা হবে, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হয়ে যাবে। খবর-বিবিসি
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাজ্য সফরকালে জয়শঙ্করের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতের

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের যুক্তরাজ্য সফরকালে তাঁর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের একটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

আজ বৃহস্পতিবার ভারত এই নিন্দা জানায়। নয়াদিল্লি বলেছে, এভাবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অপব্যবহারের নিন্দা জানায় ভারত।

ঘটনার একটি কথিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ছড়িয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতের পতাকার মতো দেখতে তিনরঙা লম্বা এক টুকরো কাপড় দুই হাতে মেলে ধরে চিৎকার করতে করতে একটি গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ান এক ব্যক্তি। তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। গাড়িতে জয়শঙ্কর বসা ছিলেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।

ঘটনার সময় খালিস্তানপন্থী পতাকা হাতে এক দল মানুষকে চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে আজ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ভিডিওচিত্র তাঁরা দেখেন। তাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থীদের এই ছোট দলটির উসকানিমূলক কার্যকলাপের নিন্দা জানান।

রণধীর জয়সোয়াল আরও বলেন, তাঁরা এই ধরনের লোকজনের এভাবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার অপব্যবহারের নিন্দা জানান। তাঁরা আশা করছেন, এ ধরনের ঘটনায় স্বাগতিক সরকার (যুক্তরাজ্য) তাদের কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণরূপে পালন করবে।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে একদল খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়েছিল।

এর আগে ২০২৩ সালে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাজ্য সফরকালে জয়শঙ্করের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতের
  • ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ: জয়শঙ্কর
  • লন্ডনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর হামলা