থানার লুট হওয়া পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়ে নেজাম
Published: 6th, March 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে জামায়াতের দুই কর্মীর মৃত্যুর পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলটি নগরের কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হওয়া। অস্ত্রটি দিয়ে সেদিন গুলি করেছিলেন গণপিটুনিতে নিহত নেজাম উদ্দিন। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তার কাছে কীভাবে অস্ত্রটি গেল তা তদন্ত করছে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তবে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে
আভ্যন্তরীণ বিরোধে খুন হয়েছেন নেজাম ও আবু ছালেক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম।
বিস্তারিত আসছে.
...
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে বন্দর আব্বাসের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০
ইরানের বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজয়ি বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০০০ জন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, শহীদ রাজয়ি বন্দর ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত। এটি ইরানের সবচেয়ে উন্নত কনটেইনার বন্দর। বন্দর আব্বাস শহরের ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ও হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত এই কনটেইনার বন্দর। এ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহন করা হয়।
শনিবার ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরও রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, বন্দর এলাকা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং সেখানে জ্বলতে থাকা বহু কনটেইনারের আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি শহীদ রাজয়িতে থাকা কনটেইনারগুলোয় রাসায়নিকের অনিরাপদ মজুত বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ কনটেইনারের ভেতরে থাকা রাসায়নিক।’
হোসেইন জাফরি আরও বলেন, এর আগেও সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক পরিদর্শনের সময় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন, সম্ভাব্য বিপদের কথা বলেছিলেন।
অন্যদিকে ইরানের সরকারি মুখপাত্র বলেন, বিস্ফোরণের পেছনের কারণ হতে পারে রাসায়নিক। তবে সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগুন নেভানো ও অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।