ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক চার দিনের রিমান্ডে
Published: 6th, March 2025 GMT
ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাভারের আশুলিয়া থানায় দায়ের করা রিয়াজুল ইসলাম হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার রিমান্ডের আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এ কালাম খান।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আশুলিয়া থানায় দায়ের করা রিয়াজুল ইসলাম হত্যা মামলায় এম এ মালেককে আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। এই মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আর আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া এলাকায় রিয়াজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর-১ এলাকা থেকে এম এ মালেককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এম এ মালেক ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আরও পড়ুনঢাকা–২০ আসনের সাবেক এমপি এম এ মালেক মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এম এ ম ল ক জ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে রমজানবিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তেপান্তর সাহিত্য সভার (তেসাস) আয়োজনে ‘রমজানের বিশেষ আলোচনা ও ইফতার’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ‘উপমহাদেশে রমাদান ও ইফতার সংস্কৃতির বৈচিত্র্য’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তেসাসের সভাপতি শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান।
আরো পড়ুন:
দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রীর মৃত্যু: বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন
চবি প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩৮ ‘ভুল’
তেসাসের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ রিয়াদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী। বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওসমান মেহেদী।
প্রধান আলোচক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, “ইফতারের সময় যে আনন্দঘন মুহূর্ত, সেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এ মাসে পবিত্র কোরআন নাযিল হওয়ার কারণেই রমজান এত গুরুত্বপূর্ণ। এ মাসে কদরের রাত সর্বশ্রেষ্ঠ। কোরআনকে আমাদের অধ্যয়ন করতে হবে। কোরআন মৃত মানুষের জন্য নয়, বরং এটি জীবন্ত মানুষের দিকনির্দেশনার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র কোরআনের আলোকের সাজালে রমজানের উদ্দেশ্য স্বার্থক হবে।”
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, “রোযার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নৈতিক সমস্যা। আমরা যদি তাকওয়া অর্জন করতে পারি, তাহলে শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হব। একজন তাকওয়াবান মানুষ কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারবে না, দুর্নীতি করতে পারবে না।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী