শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ জবির ৯৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
Published: 6th, March 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শাখা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সুজন মোল্লা বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সুজন মোল্লা বলেন, “আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে আমার চোখে গুলি লাগে। শুধু এ ঘটনাই নয়। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের দোসরদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেই এ মামলা করা হয়েছে।”
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বাকি আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আরাফাত এ রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মকর্তা রয়েছেন। শিক্ষকরা হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড.
কর্মকর্তারা হলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকতা সমিতির সভাপতি কাজী মনির, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেন ও ইমরান হোসেন ইমন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার পদে নিয়োজিত কর্মকর্তা টুটুল আহমেদ, জবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও স্টোরকিপার সুমন হাসান সোহান।
এছাড়া জবি ছাত্রলীগের ৭৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসাইন, সাবেক সভাপতি এফএম শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি হিমেলুর রহমান হিমেল, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা মেনন মাহফুজ, সহ-সভাপতি পরাগ হোসাইন, ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল বারেক অন্যতম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে জবি ছাত্রদল। এ সময় আসামিরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধে পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ ও মারপিট করলে জবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স জন ম ল ল কর মকর ত ল ইসল ম মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
জীবন বাঁচাবে মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের এই পরীক্ষা
বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের চেকলিস্টে যে পরীক্ষা রাখা উচিত
বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সহজ একটি কাজ করতে পারেন। ঘরে বসানো গ্রাউন্ড ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (জিএফসিআই) নামক যন্ত্রটি কাজ করছে কি না, মাঝেমধ্যে তা পরীক্ষা করে দেখুন। যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপ বলছে, দেশটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার মৃত্যু এবং কমপক্ষে ৩০ হাজার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২০ শতাংশই শিশু। জিএফসিআই পরীক্ষাটি সহজ, সস্তা এবং দ্রুত করা যায়। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করতে পারেন সহজেই।
জিএফসিআই কী
জিএফসিআই হলো একটি সার্কিট ব্রেকার। এই সেফটি যন্ত্রটি মানুষকে বিদ্যুতায়িত হওয়া থেকে রক্ষা করে। বুঝিয়ে বলি। আপনি তার বা সকেটের দ্বারা বিদ্যুতায়িত হলে আপনার শরীরকে পরিবাহী বানিয়ে বিদ্যুৎ মাটিতে যায়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ধরনের যন্ত্র এই প্রক্রিয়া ঘটার আগেই বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। অন্যভাবে বললে, বাসার কোনো সকেটে যা-ই প্লাগ ইন করা হোক, জিএফসিআই সেটা পর্যবেক্ষণ করে। কোনো অসামঞ্জস্য বা ইলেকট্রিক শকের মতো দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখলেই এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে বাঁচা যায়। এর বাইরেও অন্য সুরক্ষাব্যবস্থা থাকতে পারে। তবে নতুন বাসায় উঠে জিএফসিআই না দেখলে বা সুরক্ষা নিয়ে মনে খটকা থাকলে ইলেকট্রিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া ভালো।
বাসাবাড়ির যেখানে পানি বেশি ব্যবহৃত হয়, সেখানে জিএফসিআই থাকলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও বেশি