১০ মাস পর খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নামল
Published: 6th, March 2025 GMT
১০ মাস পর খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নামল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসের পর খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আর এক অঙ্কের ঘরে নামেনি। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ এত দীর্ঘ সময় ধরে ভোগান্তিতে পড়েননি। গত মার্চ মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিএস মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করে। বিবিএসের হিসাব অনুসারে, চার মাস ধরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিবিএসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শীতের শাকসবজির দাম বেশ কম। চালের বাজারও খুব বেশি পরিবর্তন নেই। এসব কারণে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। ধরুন, আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যদি আপনার বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা কিনে সংসারের খরচ চালাতে ১০০ টাকা খরচ হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একই পণ্য ও সেবা কিনে সংসার চালাতে খরচ লাগল ১০৯ টাকা ৩২ পয়সা। প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৩২ পয়সা।
বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গত জানুয়ারি মাসে এই হার ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার হয় ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত জানুয়ারি মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ব এস
এছাড়াও পড়ুন:
মুরগির খামারে মিলল ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম
নাটোরের লালপুরে একটি খামারে ১৮০ গ্রাম ওজনের একটি মুরগির ডিম পাওয়া গেছে। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত মুরগির ডিমের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। সেখানে এই বিশাল আকৃতির ডিম দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী। ডিমটি দেখতে অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়ার খামারে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গোলাম কিবরিয়ার খামারে তাঁর মা মোছা. মমতাজ বেগমের (৫৯) সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) খামারে গিয়ে একটি খাঁচায় অস্বাভাবিক বড় একটি ডিম দেখতে পেয়ে প্রথমে ভয় পেয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিক হলে বিষয়টি পরিবারের অন্যদের জানান।
আরো পড়ুন:
শ্রীমঙ্গলে বিনা লাভে মুরগি-ডিম বিক্রির উদ্বোধন
চট্টগ্রামে ১৩০ টাকা ডজন দামে ডিম বিক্রি
খামার মালিক গোলাম কিবরিয়া জানান, পাঁচ মাস আগে তিনি নিজ বাড়িতে লেয়ার মুরগির খামার শুরু করেন। এক মাস ধরে মুরগিগুলো নিয়মিত ডিম দিচ্ছে। তাঁর মায়ের কাছে ব্যতিক্রম একটি ডিমের কথা শোনেন। খামারে এসে ডিমটি সংগ্রহ করে ডিজিটাল স্কেলে পরিমাপ করে দেখেন ওজন ১৮০ গ্রাম। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে কৌতূহলী মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন।
তবে কোন মুরগি এই ডিম পেড়েছে চিহ্নিত করতে পারেননি তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, সাধারণত লেয়ার মুরগির ডিম ৫০-৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। কোনো মুরগি অনিয়মিত ডিম দিলে তার ডিমে একাধিক কুসুম থাকতে পারে। যার ফলে ওজন ৮০-১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পাওয়া বিরল ঘটনা। তিনি আরও জানান, তাঁর চাকরিজীবনে মুরগির এত বড় ডিমের কথা এই প্রথম শুনলেন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল