জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চলতি বছর ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।

২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্টজনদের মধ্যে আছেন- মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী, বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর, কবি আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার নভেরা আহমেদ, পপসম্রাট আজম খান ও আবরার ফাহাদ।

আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আওয়াজ তোলায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্মম নির্যাতনে তিনি নিহত হন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আবর র ফ হ দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারে গাফলতি দেখলে আবারও মাঠে নামবে ছাত্র-জনতা: মীর স্নিগ্ধ

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে বিন্দু পরিমাণ গাফিলতি দেখলে আবু সাঈদের মতো বুক চিতিয়ে, মীর মুগ্ধের মতো পানি নিয়ে ছাত্র-জনতা আবারও মাঠে নামবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।  

বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের’ আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব গজালিয়া এলাকার শহীদ ছাত্রদল নেতা নুরুল আমিনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং জেলার আহত ৪৭ যোদ্ধাকে এক লাখ টাকা করে চেক  দেওয়া হয়।  

অনুষ্ঠানে স্নিগ্ধ বলেন, আন্দোলনে শহীদদের ও আহতদের এই ত্যাগ কোনোভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের জন্য ত্যাগের সাহস সবার থাকে না। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে আহত ও শহীদ পরিবারগুলো বর্তমানে অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রশাসন সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রমজানের শুভেচ্ছা উপহার প্রদানসহ ইতোপূর্বেও এসব সাহসী যোদ্ধাদের সহায়তা করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় ৪ জন শহীদ এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শহীদসহ আহত ৪৮ জনকে বৃহস্পতিবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে জেলার আরও ৩ শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ