কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সহিদুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আমিনুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থী প্রার্থীরা ৫টিতে এবং বিএনপিপন্থী প্রার্থীরা ৯টি পদে জয় পেয়েছেন।

গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে আইনজীবী সমিতির ভবনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে ৬০৬ জন ভোটারের মধ্যে ৫৩৭ জন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী এস এম মাহবুবুর রহমান।

ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী সহিদুল আলম ৪৪১ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ ৮০ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপিপন্থী আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ২৯১ ভোট পেয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীপন্থী শেখ শহিদুল ইসলাম ১৩৪ ভোট পেয়েছেন।

সভাপতি সহিদুল আলম ছাড়া আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের জয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি পদে আবদুর রাশিদ ভূঞা, সদস্য পদে কফিল উদ্দিন, মো.

সারোয়ার জাহান ও মো. সোহাগ মিয়া।

সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছাড়া বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল থেকে জয়ী প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি পদে মো. মানিক, সহসাধারণ সম্পাদক পদে নাদিরা সুলতানা ও শাহিনূর কলি, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল বোখারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এ এম সাজ্জাদুল হক, অডিটর পদে আবু বাক্কার সিদ্দিক, সদস্যপদে মোহাম্মদ আহসানুজ্জামান ও আবু তাহের। এর মধ্যে সদস্য পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম আইনজ ব আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা করার দাবি রাবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের

বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষার আবেদন ফি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের একদল শিক্ষার্থী। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না নিলে সারা দেশের আইনের শিক্ষার্থীরা চলমান সার্কুলার প্রত্যাখ্যান করে একযোগে কর্মসূচি পালন করবে জানিয়ে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সম্প্রতি ঘোষিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বার কাউন্সিল পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২০ টাকা, যা দেশের তরুণ আইন শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অসহনীয়। এই উচ্চ ফি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে বহন করা অসম্ভব, বিশেষ করে যাঁরা গ্রামাঞ্চল বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ভবিষ্যৎ আইনজীবী।’

কামরুল হাসান আরও বলেন, ‘দেশের অন্য পাবলিক পরীক্ষা যেমন বিসিএস, ব্যাংক নিয়োগ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক পর্যায়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পরও আবেদন ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বার কাউন্সিল পরীক্ষার আবেদন ফি ৪ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’

দাবি আদায় না হলে চলমান সার্কুলার প্রত্যাখ্যানের হুঁশিয়ারি দিয়ে কামরুল হাসান বলেন, ‘এ দাবি কোনো রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলন, যেখানে দেশের আইন অনুষদের শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিকদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আমরা বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হলে সারা দেশের আইন শিক্ষার্থীরা একযোগে চলমান সার্কুলার প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ.লী‌গের ৫, বিএন‌পির ৯ প্রার্থী জয়ী 
  • বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা করার দাবি রাবির আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের
  • কিশোরগঞ্জ বার নির্বাচনে সভাপতিসহ পাঁচ পদে আওয়ামীপন্থীদের জয়
  • বাসসের এমডিকে অপসারণের দাবিতে ডিইউজের সমাবেশ
  • পঞ্চগড়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাওন আটক
  • ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযানের প্রতিবাদ মালিক সমিতির
  • সিরামিকশিল্পের মালিকদের সংগঠনে নতুন কমিটি
  • ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার
  • বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তভিত্তিক ফুটবলের পরিকল্পনা