কক্সবাজারে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৪৮ জন আহত যোদ্ধাকে এক লাখ টাকা করে এবং এক শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, “জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে বিন্দুমাত্র গাফিলতি হলে, আবারও ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামবে। শহীদদের এই ত্যাগ কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকব।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, “কক্সবাজারে আহত ও শহীদ পরিবারগুলো কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আগামীতেও সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় ৪ জন শহীদ ও ৮২ জন আহত হন। এর মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে জেলার আরো ৩ শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

কক্সবাজার/তারেকুর/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিলারের ট্রলি থামিয়ে চাল লুট, বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

যশোরের শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের ১৫৫ বস্তা চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালুকে দায়ী করেন ভুক্তভোগী।

গতকাল বুধবার এ ঘটনার পর প্রশাসনের চাপে চাল ফেরত দেন তারা। তবে রাতেই যশোর জেলা বিএনপি রুহুল কুদ্দুসের দলীয় পদ স্থগিত করে।

অভিযোগকারী শাহজাহান কবির কায়বা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার। তার ভাষ্য, বুধবার সকালে বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে কয়েকটি ট্রলি তার ডিলার পয়েন্টের উদ্দেশে পাঠান। পথে বাগআঁচড়া বকুলতলায় পৌঁছালে বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার ভাই ইবাদুল ইসলাম কালু ট্রলিগুলোর গতিরোধ করেন। তারা চালককে জিম্মি করে ১৫৫ বস্তা চাল নিজেদের গুদামে নামিয়ে রাখেন। এ বিষয়ে জানতে তিনি রুহুল কুদ্দুসের নম্বরে কল দিলে তিনি (রুহুল) পাল্টা গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দেন। বিষয়টি তিনি প্রশাসনকে জানান। তাদের চাপে দেড় ঘণ্টার পর চাল ফেরত পেয়েছেন।

ইবাদুল ইসলাম কালু দাবি করেন, তিনি ডিলার শাহজাহান কবিরের কাছে টাকা পাবেন। তাই ট্রলি আটকে চাল নামিয়ে রেখেছেন। তবে ডিলার শাহজাহান কবির বলেন, ইবাদুলের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুসের ভাষ্য, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কোনো চাল লুট করিনি। আমার ভাই ডিলারের কাছে টাকা পাবে। তাই ট্রলি আটকে রেখেছিল। পরে চাল ফেরত দেওয়া হয়েছে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁকে ইউএনও চাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর পরপরই জানতে পারেন, চালের ট্রলিগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শার্শার ইউএনও কাজী নাজিব হাসান জানান, বিষয়টি শুনেই তিনি শার্শা থানার ওসিকে চাল উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এদিকে চাল লুটের অভিযোগ ওঠার পর রুহুল কুদ্দুসের দলীয় পদ স্থগিত করে বিএনপি। বুধবার রাতে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ