কক্সবাজারে হতাহত ৪৮ জনকে লাখ টাকার চেক বিতরণ
Published: 6th, March 2025 GMT
কক্সবাজারে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৪৮ জন আহত যোদ্ধাকে এক লাখ টাকা করে এবং এক শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, “জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে বিন্দুমাত্র গাফিলতি হলে, আবারও ছাত্র-জনতা রাস্তায় নামবে। শহীদদের এই ত্যাগ কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকব।”
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, “কক্সবাজারে আহত ও শহীদ পরিবারগুলো কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রশাসন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আগামীতেও সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় ৪ জন শহীদ ও ৮২ জন আহত হন। এর মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে জেলার আরো ৩ শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
কক্সবাজার/তারেকুর/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি কাজ করবে। এ সময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। দুই দেশের মধ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেগুলো কীভাবে যৌক্তিক করা যায় সেটি আমাদের বের করতে হবে।
অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
বিজিএমইএ-এর পক্ষে প্রশাসক ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এবং পিআরজিএমইএ ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।