ওমরাহ যাত্রীদের অর্থ আত্মসাৎকারী মূলহোতার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার আরও ২
Published: 6th, March 2025 GMT
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের ভেতরে ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা সার্ভিসেস’ নামে এজেন্সি খুলে ওমরাহ যাত্রীদের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ মামলায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলা দায়েরের ৬ দিন পার হলেও অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা রাজীব মাহমুদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত দু’জন হলেন- এজেন্সির মালিক ও মূলহোতা রাজীব মাহমুদের স্ত্রী নীলা আক্তার এবং রুমিং ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনিরুজ্জামান।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সমকাল পত্রিকায় ‘বিমানবন্দরে অফিস দেখে মনে হয়নি রাজীব বাটপার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশের। পরে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ও গাজীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম সমকালকে বলেন, গতকাল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে এস এম মনিরুজ্জামান ও গাজীপুর এলাকায় থেকে নীলা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নীলা আক্তার ও মনিরুজ্জামান দুই শতাধিক ওমরাহ যাত্রীর কাছ থেকে ৫ কোটি আত্মসাতের তথ্য পুলিশকে জানিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের দেওয়া সকল তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মূলহোতা রাজীব মাহমুদসহ জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা সার্ভিসেস’র মালিক রাজীব মাহমুদকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দুই শতাধিক ওমরাহ যাত্রী। এ ঘটনায় এজেন্সির মালিক রাজীব মাহমুদ ও তার স্ত্রী নীলা আক্তারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়। গত ১ মার্চ ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজ গ র প ত র কর ওমর হ য ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন ৪ দিনের রিমান্ডে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক মো. সোয়েবুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।
আফতাব উদ্দিন সরকার নীলফামারী-১ (ডোমার- ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। একই আসন থেকে এরপর আরও দুইবার নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তিনি গা ঢাকা দেন।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী-কন্যাসহ খাইরুজ্জামান লিটনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজার রহমান জানান, বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়া এলাকায় ছেলের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চার মাস ধরে ওই বাসায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইতফা আক্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট রংপুর রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে গুলিতে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলায় হত্যাচেষ্টা এবং নীলফামারী সদর থানার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তিনি।
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাহামুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ। এ মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদসহ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল