রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের ভেতরে ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা সার্ভিসেস’ নামে এজেন্সি খুলে ওমরাহ যাত্রীদের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ মামলায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মামলা দায়েরের ৬ দিন পার হলেও অর্থ আত্মসাতের মূলহোতা রাজীব মাহমুদকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত দু’জন হলেন- এজেন্সির মালিক ও মূলহোতা রাজীব মাহমুদের স্ত্রী নীলা আক্তার এবং রুমিং ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনিরুজ্জামান।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সমকাল পত্রিকায় ‘বিমানবন্দরে অফিস দেখে মনে হয়নি রাজীব বাটপার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশের। পরে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ও গাজীপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম সমকালকে বলেন, গতকাল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে এস এম মনিরুজ্জামান ও গাজীপুর এলাকায় থেকে নীলা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নীলা আক্তার ও মনিরুজ্জামান দুই শতাধিক ওমরাহ যাত্রীর কাছ থেকে ৫ কোটি আত্মসাতের তথ্য পুলিশকে জানিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের দেওয়া সকল তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মূলহোতা রাজীব মাহমুদসহ জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ‘বার্ডস আই হেলিকপ্টার অ্যান্ড হজ কাফেলা সার্ভিসেস’র মালিক রাজীব মাহমুদকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দুই শতাধিক ওমরাহ যাত্রী। এ ঘটনায় এজেন্সির মালিক রাজীব মাহমুদ ও তার স্ত্রী নীলা আক্তারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়। গত ১ মার্চ ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো.

আশরাফুল আলম বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে। মূলহোতা রাজীব মাহমুদসহ জড়িত অন্য আসামিরা এখনও পলাতক রয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজ গ র প ত র কর ওমর হ য ত র

এছাড়াও পড়ুন:

আবারও বাসিন্দাদের সরিয়ে গাজা খালি করার কথা বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে গাজা উপত্যকা খালি করার কথা বলেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তবে ফিলিস্তিনিদের কোন দেশে সরিয়ে নিতে চান সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে গাজাকে আবাসন নির্মাণের জন্য দারুণ স্থান হিসেবে বর্ণনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার ‘নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি শান্তি বাহিনী থাকলে ভালো হবে।

আরও পড়ুনবাসিন্দাদের অন্য দেশে পাঠিয়ে গাজা খালি করতে চান ট্রাম্প২৬ জানুয়ারি ২০২৫

গাজায় একটি মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চান ট্রাম্প। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ গাজায় বসবাস করতে চায় না।

অপরদিকে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের সুরে কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের পর গাজা পুনর্নির্মাণ করতে অনেক সময় লাগবে। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁরা সেটি নিয়ে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন১৫ চিকিৎসাকর্মী হত্যার ভিডিও প্রকাশ, কী আছে ভিডিওতে০৬ এপ্রিল ২০২৫

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে গাজা উপত্যকা খালি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এ জন্য গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে মিসর ও জর্ডানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে মিলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ করে আসা এই সংগঠনটি বলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ উসকে দেওয়ার শামিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ